যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে বইছে বসন্তের বাতাস। শুধু তাই নয় মহাতারকা লিওনেল মেসির ছোঁয়ায় পুরো দেশটি ভাসছে মেসিম্যানিয়ায়। গত জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত ক্লাব ইন্টার মায়ামিকে শুধু জেতাননি, দর্শকদের মনও জয় করে নিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা। এবার দেশটিতে নতুন বাড়ি কিনে খবরের শিরোনাম হয়েছেন এলএমটেন।
সম্প্রতি মার্কিন সাময়িকী আর্কিটেকচারাল ডাইজেস্টের দেয়া তথ্যমতে, প্রায় ১১৮ কোটি টাকা (১ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার) ব্যয়ে একটি নতুন বাড়ি কিনেছেন মেসি। ফোর্ট লডারডেলের অভিজাত এলাকার বে কলোনির গেটেড কমিউনিটিতে অবস্থিত এই বাড়ির আয়তন ১০ হাজার ৫০ বর্গফুট।
মেসির নতুন বাড়িকে ফুটবলের মাঠের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। কারণ সেখানে রয়েছে ১০টি শয়নকক্ষ, ৯টি বাথরুম, খোলামেলা রান্নাঘর, একটি সুইমিংপুল ও তিনটি গাড়ি রাখার গ্যারেজ। এছাড়া বাড়ির চারপাশে রয়েছে লেক। দেখে যে কারও প্রশান্তি লাগবে চোখে।
এ দিকে বে কলোনির নতুন বাড়ি থেকে মায়ামির দূরত্ব আরও কমে এসেছে। বাড়িটি থেকে মেসির গাড়ি নিয়ে স্টেডিয়ামে যেতে সময় লাগবে প্রায় ১৫ মিনিট। এর আগে মেসি যে বাড়িতে ছিলেন সেখান থেকে মাঠে যাওয়ার সময়ে প্রায়ই যানজটে পড়তে হতো তাকে। তবে এবার অভিজাত এলাকাটিতে কোনো যানজট ছাড়াই মাঠে যেতে পারবেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
এটি যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপজয়ী তারকার প্রথম বাড়ি নয়। দ্য মিররের খবর থেকে জানা যায়, এর আগে প্রায় শত কোটি টাকা (৭ মিলিয়ন পাউন্ড) ব্যয় করে ২০১৭ সালে পোরশে ডিজাইন টাওয়ারের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিলেন মেসি। পরে কলিন্স অ্যাভিনিউয়ের রেগালিয়া টাওয়ারের পুরো নবম তলা ৮২ কোটি টাকার বেশি (৬ মিলিয়ন পাউন্ড) খরচ করে কিনেছিলেন। শুধু তাই নয়, ট্রাম্প রয়্যাল টাওয়ারে দুটি বিলাসবহুল ইউনিটও রয়েছে মেসির। তার জন্য মেসি ব্যয় করেছেন প্রায় ১১ কোটি টাকা (৮ লাখ পাউন্ড)।
গত ২২ জুলাই ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে মায়ামির জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল লিওনেল মেসির। এরপরে ধারাবাহিক সফলতা দেখে যাচ্ছে দলটি। ইতোমধ্যে টানা ১২ ম্যাচে সফলতা পেয়েছে মায়ামি। এর মধ্যে একটি ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হলেও হারের মুখ দেখেনি মেসির দল। আর মেসি টানা ৯ ম্যাচে ১১ গোল করে মার্কিন ক্রীড়াজগতে জাগিয়েছেন ফুটবল ঢেউ।