পেরুর মাটিতে হতাশার একটি ম্যাচ শেষ হতে যাচ্ছিল ব্রাজিলের। একের পর এক গোল করেও অফসাইডের খড়গে পড়ে আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। তবে শেষ পর্যন্ত সেই আক্ষেপে ভর করে নেইমার জুনিয়রদের মাঠ ছাড়তে হয়নি।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় পেরুর লিমায় মুখোমুখি হয় ব্রাজিল ও স্বাগতিক পেরু। ম্যাচটিতে ১-০ গোলের জয় পায় ব্রাজিল। জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন ব্রাজিল ডিফেন্ডার ও পিএসজি তারকা মারকুইনহোস। আর গোলটিতে সহায়তা করেছেন নেইমার।
ম্যাচটির শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। সেখানে কিছুটা এগিয়েই ছিল ব্রাজিল। তবে বারবার একই আফসোস করতে হয়েছে দলটিকে, সেটি হলো অফসাইড। দুইবার সফলতা পেয়েও দলটি গোলশূন্য থেকেছে কেবল এই অফসাইডের কারণে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নেইমার-মারকুইনহোস মিলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে সেলেসাও বাহিনী।
ম্যাচের ১৫তম মিনিটে প্রথম সফলতা পায় ব্রাজিল। কিন্তু রাফিনহার করা গোলটি বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। ক্যাসেমিরো বল পাসের আগে অফসাইডে চলে যান নেইমার ও রদ্রিগো। তাতে জালের দেখা পেয়েও স্কোরলাইন শূন্য থাকে ব্রাজিলের।
২২ মিনিটে পেরুর ডি-বক্সের মধ্যে দারুণ পজিশনে বল পান রিচার্লিসন, কিন্তু তার নেয়া হেড গোল লাইনের বাইরে চলে যায়। তবে ৬ মিনিট পরে ব্রুনো গুইমারেস পাস থেকে উড়ে আসা বলে সফলভাবে হেড দেন ব্রাজিল স্ট্রাইকার। শূন্যে ভেসে নেয়া রিচার্লিসনের হেডটি ছিল দৃষ্টিনন্দন ফুটবলের উদাহরণ। তবে এবারও কপাল মন্দ ব্রাজিলের। এই গোলটিও বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। তাতে ৩০ মিনিটের মধ্যে দুবার জালের দেখা পেয়েও হতাশ হতে হয় হলুদ জার্সিধারীদের। প্রথমার্ধে গোল শূন্য স্কোর নিয়ে দুদল বিরতিতে যায়।
বিরতি থেকে ফিরে পেরু গোলের সামনে যেন অভেদ্য দেয়াল রচনা করে। আর সেই দেয়ালে বারবার মুখ থুবড়ে পড়ে ব্রাজিল। সফরকারীরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়েছে পেরুর ডিফেন্ডিং দেয়াল ভাঙতে। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হয়েছেন নেইমার-রদ্রিগো বাহিনী। খেলার শেষদিকে কর্নারের সুযোগ পায় ব্রাজিল। আর সেটিকেই কাজে লাগায় দলটি। কর্নার কিক করে অসাধারণ নৈপুণ্যে বল গোলের সামনে পাঠান নেইমার। সেখান থেকে হেডের মাধ্যমে জালে বল জড়াতে ভুল করেননি মারকুইনহোস। তাতেই ১-০ গোলের লিড পায় নেইমার বাহিনী।
শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। ম্যাচটিতে ৬২ শতাংশের বেশি সময় বল নিজেদের দখলে রেখেছিল দলটি। সে সময়ে ৯ বার আক্রমণে নামেন নেইমাররা। গোলমুখে শট নেন ৩ বার। আর স্বাগতিক পেরু ৬ বার আক্রমণ করলেও লক্ষ্যে কোনো শট নিতে পারেনি। যার ফলে ঘরের মাটিতে হার দেখতে হয়েছে তাদের।