আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে। দেখতে দেখতে ১৫ বছর কেটে গেছে; আমেরিকার দিকে তাকিয়ে ছিলো তারা। একটা সেলফি দেখেই চোখমুখ শুকিয়ে গেছে তাদের। রাতের ঘুম শেষ হয়ে গেল। এখন কে নিষেধাজ্ঞা দিবে? ওসব ভয় পায় না আওয়ামী লীগ।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দেশব্যাপী প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পেছনে পেছনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। একটা সেলফি দেখে বিএনপি কর্মীদের আশা ভরসায় ভাটা পড়েছে। তাদের লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে। দেখতে দেখতে ১৫ বছর কেটে গেছে, আমেরিকার দিকে তাকিয়ে ছিলো। আর একটা সেলফি দেখেই চোখমুখ শুকিয়ে গেছে তাদের। রাতের ঘুম শেষ হয়ে গেল। এখন কে নিষেধাজ্ঞা দিবে? ওসব ভয় পায় না আওয়ামী লীগ। জনগণের শক্তিতে আগামী নির্বাচন করতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী।
জনগণের ভালোবাসা আওয়ামী লীগের একমাত্র পুঁজি। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল নয়। সত্যের পক্ষে জনগণের পক্ষে যে কোনো সময় সুদৃঢ় অবস্থা জানাতে পারে এ দল এসব কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, টেমস নদীর তীরে বসে মনোনয়ন বাণিজ্য করছেন বিএনপির নেতা। তলেতলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে না।
ড. ইউনূসের ১৬০ জনের স্টেটমেন্ট কিনতে ২ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। এতো টাকা কোথায় পেলেন? যে মানুষ শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ আসে না। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু, মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় চার নেতার বিষয়ে কথা বলে নাই। সে আপন কেন হবে? দেশের কোনো দুর্যোগে তাকে পাওয়া যায় না। তাকে কেন আমরা ভালোবাসবো? তার জন্য বিএনপির এতো মায়া কান্না কেন? এমন প্রশ্ন রাখেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি ভেবেছে ১/১১ এর মতো একটা সুশীল সরকার আসবে। তা আর হবে না। জনগণ কাকে ভোট দিবে ঠিক করে ফেলেছে। জরিপে ৭০% লোক শেখ হাসিনাকে ভোট দিবে। নেতিবাচক রাজনীতির জন্য জনগণ বিএনপিকে না করে দিয়েছে। আগামী নির্বাচন বলে দিবে কে ক্ষমতার মঞ্চে থাকবে। বুঝতে পারলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন। ফাইনাল খেলা হবে নির্বাচনের মাঠে বলেও জানান তিনি।
এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতিতে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নাই। গদবাধা কথা এখন আর কেউ শুনতে চায় না। কথা বলতে হবে, আর খারাপ লোক আওয়ামী লীগের দরকার নাই।
প্রসঙ্গত: ভারতের নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেলফি তুলেছেন। গতকালও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাইডেনের সেলফি তোলা বিএনপির ভালো লাগেনি বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি আরও বলেন, নতুন একটা খবর আছে, জি-২০ সম্মেলন হচ্ছে দিল্লিতে। আটলান্টিকের ওপারে হোয়াইট হাউসে থেকে নিষেধাজ্ঞা দেবে এ আশায় ছিল বিএনপি। কিন্তু কী দেখা গেল? বাইডেন নিজেই সেলফি তুললেন শেখ হাসিনার সঙ্গে, সঙ্গে পুতুলও ছিলেন। বিএনপির এখন কী হবে? বাইডেন সাহেব শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবি তুলেছেন কেমন করে? এসব ভালো লাগেনি বিএনপির।