সাইদুজ্জামান রেজা, পঞ্চগড়।।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার ফুটকিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে,পরিচালনা কমিটি সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।এবিষয়ে শিক্ষক, অভিভাবকসহ স্থানীয়রা সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন ।
তথ্যসূত্রে জানা যায়,ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হাবিবুল ইসলাম তিনি ২৬ জুন ২০২১ সালে মারা যাওয়ার পর,বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল ও কলেজ জনবল কাঠামো নীতিমালা ২০২১ অনুযায়ী সহকারী প্রধান শিক্ষক অমল কৃষ্ণ বর্মন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন।কিন্তু সহকারী প্রধান অপারগতা স্বীকার না করলেও বিলুপ্ত এডহক কমিটির আহবায়ক বাবু সুবেন শর্মা ২৭ জুন ২০২১ রেজুলেশন করে সহকারী অধ্যাপক এমদাদুল হককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন।
যদিও এডহক কমিটি ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ১৬ মে পর্যন্ত ছিল।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভার্ণিং বডি প্রবিধানমালা ২০০৯ বলা হয়েছে, এডহক কমিটি অনুমোদিত হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে কমিটি গঠনে ব্যর্থ হলে মেয়াদ শেষে কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। সেই বিলুপ্ত হওয়া কমিটি গত ২৭জুন২০২১ রেজুলেশন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়ায়, প্রতিবাদ করে সহকারী প্রধান অমল কৃষ্ণ বর্মন বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান তার বেতন ভাতা বন্ধ করে দিলে মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন তিনি।
পরে দুই দফায় এডহক কমিটি হওয়ার পর ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে দুই বছরের জন্য পুর্নাঙ্গ গভর্নিং কমিটি হয়।তখন অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।অভিযোগ রয়েছে,সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পূর্ব পরিকল্পনা বুঝতে পেরে, অধ্যক্ষ পদে আবেদনকারী মতিয়ার রহমান ৫জুন২০২৩ পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য সভাপতিসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। কিন্তু কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে ১০ জুন ২০২৩ তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়,১২ জুন পুর্নাঙ্গ অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন এমদাদুল হক।
সহকারী প্রধান অমল কৃষ্ণ বর্মন বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী প্রধানের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব আমি পাই কিন্তু আমাকে না দিয়ে অন্য প্রভাষককে দায়িত্ব দেন বিলুপ্ত এডহক কমিটির সভাপতি।বিষয়টি নিয়ে আদালত পর্যন্ত গেছি পরে আমার বেতন ভাতা বন্ধ করে দিলে, মামলা প্রত্যাহার করি।
স্কুল ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবু সুবেন শর্মা বলেন, জৈষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে এমদাদুল হককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, কিন্তু সে সময় তো বেতন ভাতায় স্বাক্ষর করেছিলেন ইউএনও। মেয়াদোত্তীর্ন হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে রেজুলেশন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বের বিষয়ে, তিনি বলেন, তৎকালীন সময় ছিল করোনা।