ভারতের চলমান জি-টুয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে প্রতিবেশী বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর সামনে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছে ভারত। বিশেষ করে জোটভুক্ত না হলেও আমন্ত্রিত অতিথি দেশ হিসেবে সম্মান জানানো বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তিতে বলিয়ান দেশগুলোর সামনে বাংলাদেশের সম্মান আরও সমৃদ্ধ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিশ্বের শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির জোট জি-২০ চলমান শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বনেতৃত্বের সামনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল উজ্জ্বল।
বিশেষ করে জোটের শরীক না হলেও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্কের দৃষ্টান্ত দেখাতে ভারতের এই উদ্যোগকে অনেকেই দেখছেন ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের দৃঢ়তা হিসেবে। একইসঙ্গে বিশ্বের বৃহত্তম গুরুত্বপূর্ণ এই মঞ্চকে ব্যবহার করে ভারতের কাছে বাংলাদেশ কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটিও প্রমাণ করেছে দেশটি। এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এছাড়া একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে নরেন্দ্র মোদি বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশকে একই কাতারে রেখেছেন বলেও মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে সমর্থন করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে কূটনৈতিক বার্তার দেয়ার কথা প্রকাশ পায়। বাংলাদেশের বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ওয়াশিংটনের অতি আগ্রহ ভারত যে ভালোভাবে দেখছেন না, সেটাও নানাভাবে জো বাইডেনকে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি।