মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী প্রতিনিধি।।
আজকের এই দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, শ্রীকৃষ্ণ অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতেই এ পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন।শান্তিহীন পৃথিবীতে শান্তি আনতেই শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব। দ্বাপর যুগের শেষভাগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মথুরার রাজা কংসের কারাগারে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়।
হিন্দু পঞ্জিকা মতে, ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হয়ে শ্রীকৃষ্ণ এই দিন জন্ম নিয়েছিলেন মাতা দেবকীর গর্ভে। ছোটবেলায় তাঁকে সবাই আদর করে গোপাল বলে ডাকত। তাই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে এই দিন শ্রীকৃষ্ণ বা গোপাল পূজার আয়োজন করা হয়।
তিনি গোবর্ধন পর্বতকে এক আঙুলে তুলেছিলেন বলে তাঁর আরেক নাম গোবর্ধন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, কৃষ্ণ ছিলেন স্বয়ং ঈশ্বর। দুষ্টের দমন করে পৃথিবীতে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি মানুষের রূপ নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন।
রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত হয়েছে।জেলার প্রতিটি উপজেলা শহর থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়।কেন্দ্রীয় মন্দির গুলো থেকে বেড় হয়ে শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।এতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।
হিন্দু সম্প্রদায় উপবাস, অর্চনা ও কৃষ্ণ নাম কীর্তনসহ বিভিন্ন আচার-উপাচারের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করছে।