মোঃ জাকির হোসেনে, জুড়ী প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সাগরনালে হাতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে হাতির আক্রমণে এক মাহুতের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেল পাচঁটায় উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের বাঁশমহালের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ বলছে, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজারে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। নিহত মাহুতের নাম গোলাম ওরফে মোস্তফা পিতা মৃত ইয়াকুব আলী সাং জেলা জয়পুর হাট থানা কালাই, গ্রাম জিন্দাল পুর
জানা যায়, কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিকের মালিকানাধীন কয়েকটি হাতি রয়েছে।
হাতিগুলো হারারগজ ও সাগরনাল পাহাড়ে বিচরণ করে। এর মধ্যে এই হাতিটি এক মাস ধরে পাহাড়ের ভেতরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সোমবার বিকেলে মাহুত গোলাম মোস্তফাসহ আরো পাঁচ-ছয়জন মাহুত উন্মাদ হাতিটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাগরনাল বিটের বাঁশমহালের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় হাতিটি মাহুত গোলাম মোস্তফাকে আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
হাতির সাথে থাকা আরেক মাহুত রুবেল ও চিনু মিয়া বলেন, আমরা পাঁচ ছয় জন মাহুত হাতিটিকে আনতে যাই। এসময় মাহুত গোলাম মোস্তফা হাতিটির কাছাকাছি গেলে হাতির আক্রমণে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। মাহুতের মৃত্যুর পর হাতিটি অন্যদিকে চলে গেলে আমরা তাকে উদ্ধার করে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সহায়তায় হাসপাতালে নিয়ে আসি।
সাগরনাল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রদীপ যাদব বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে এই উন্মাদ হাতিটি পাহাড়ের ভেতর থেকে লোকালয়ে এসে অনেক কৃষকের ফসলাদি নষ্ট করেছে। বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনে হাতির মালিককে অবগত করি।’
হাতির মালিক ও কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক বলেন, ‘মাহুত গোলাম মোস্তফা দীর্ঘ আট-দশ বছর থেকে আমার মালিকানাধীন হাতির মাহুত (পরিচালক) হিসেবে কাজ করছেন। সোমবার তিনিসহ ছয়জন মাহুত হাতি আনতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় হাতির আক্রমণে মাহুত মারা যান। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
জুড়ী থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,লাশ সুরতহাল করে বর্তমানে থানায় রাখা হয়েছে,পোস্ট মর্ডেমের জন্য মৌলভীবাজার পাঠানো হবে।