ঢাকা কাস্টম হাউজের গুদাম থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ পাওয়া যাচ্ছে না। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) অফিস খোলার পর বিষয়টি কর্মকর্তাদের নজরে আসে। সোমবার দুপুরে এই স্বর্ণ সেখান থেকে কিভাবে হারাতে পারে, সে বিষয়ে একটি ধারণার কথা জানিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউজ।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) শাহজালাল বিমানবন্দরের ভেতরে ঢাকা কাস্টমসের সুরক্ষিত গুদাম থেকে সাড়ে ৫৫ কেজি স্বর্ণ লোপাটের ঘটনার তথ্য সংগ্রহে গেলে কাস্টম হাউজের গেটেই গণমাধ্যম কর্মীদের আটকে দেয় আনসার সদস্যরা। অনুমতির কথা বলে দাঁড় করিয়ে রাখেন ও গাড়ি প্রবেশে বাধা দেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ভেতরে যায় গণমাধ্যমকর্মীরা।
সেখানে স্বর্ণ হারানোর বিষয়ে ঢাকা কাস্টমসের পক্ষ থেকে জানানো হয়,
ঘটনা জানার পর পর্যবেক্ষণে গিয়ে গুদামের সামনে ঠিক থাকলেও পেছনে এসির সঙ্গে বড় ধরনের ফাঁকা জায়গা চোখে পড়ে তাদের। ওই ফাঁকা দিয়ে অল্প কিছুদিন অথবা দীর্ঘ সময় ধরে সেখান থেকে ধাপে ধাপে সোনা সরানো হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে অপরাধীদের ধরতে গুদামের পাহারায় নিয়োজিত চার সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে কাস্টম। পাশাপাশি গুদামের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
মামলা করা হয়েছে জানিয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাস্টমস সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।
এদিকে গুদামে থাকা বাকি স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে কর্মকর্তারা জানান,
আজ সোমবার ৫৪ কেজি স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
এর আগে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) কাস্টমস শুল্ক বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টম হাউজের গুদাম থেকে ৫৫ কেজির বেশি স্বর্ণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যার মূল্যমান প্রায় ১৫ কোটি টাকা। মূলত এসব স্বর্ণ যাত্রীদের থেকে জব্দ করার পর কাস্টম হাউজের গুদামে রাখা হয়েছিল।
তবে সে সময়ে কীভাবে এত স্বর্ণ উধাও হলো, তার বিস্তারিত কিছু বলেনলি কাস্টমস কর্মকর্তারা।
কাস্টমস শুল্ক বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন,
ঢাকা কাস্টম হাউজের গুদামে জব্দ করা প্রায় ১৫ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ পাওয়া যাচ্ছে না। রোববার অফিস খোলার পর বিষয়টি কর্মকর্তাদের নজরে আসে। পরে বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। অভিযোগপত্রে গায়েব হওয়া স্বর্ণের পরিমাণ ৫৫ কেজির বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাস্টমসের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। মূলত যে স্বর্ণ যাত্রীদের থেকে জব্দ করা হতো, তা কাস্টম হাউজের গুদামে রাখা হয়েছিল।