Homeআন্তর্জাতিকবিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী মানুষের আবাসস্থল কীভাবে হলো জাপান?

বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী মানুষের আবাসস্থল কীভাবে হলো জাপান?

বিশ্বের সবচেয়ে বেশিদিন বাঁচে কোন দেশের মানুষ? এই উত্তর কি আমাদের সবার জানা আছে? যদি নাও থাকে তাহলে আজ জেনে নিন। বিশ্বে সবচেয়ে বেশিদিন বাঁচে জাপানিরা। এই কথা শুনে নিশ্চয় মনে হচ্ছে এটা কীভাবে সম্ভব? এই রহস্য লুকিয়ে আছে জাপানিদের খাদ্যাভাসে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের কারণে দীর্ঘদিন বাঁচেন জাপানিরা।

জাপানি খাবার একইসঙ্গে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর। জাপানিজ ডায়েট স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটা শুধু সুস্বাদু ও লোভনীয় নয়; এর অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কীভাবে ডায়েট করেন জাপানিরা।

জাপানিজ ডায়েট

জাপানিদের ডায়েট চার্ট তৈরি হয় ভাত, মাছ ও সবজি দিয়ে। জাপানি খাদ্য তালিকায় অপ্রক্রিয়াজাত খাবার থাকে। এছাড়াও তাদের খাদ্য তালিকায় পরিশোধিত চিনি থাকে না। আর তারা প্রচুর পরিমাণে শস্য ও শাকসবজি খায়। জাপানিরা রান্নার জন্য উন্নতমানের চর্বি এবং অসম্পৃক্ত তেল ব্যবহার করে। এছাড়াও সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রায় ৮১ শতাংশ জাপানি জলপাই তেল এবং তিলের তেল ব্যবহার করেন। এই তেলগুলো ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এসব তেল হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে।

জাপোনিকা চাল ও জাপানিজ নুডুলস

জাপোনিকা চাল এক ধরণের ছোট দানার চাল। জাপানিরা তাদের খাদ্য তালিকায় এই চাল রাখেন। এই চালে ফ্যাট কম থাকে কিন্তু এটি শর্করায় ভরপুর। এছাড়াও জাপানি নুডুলস যেমন: সোবা এবং উডন স্বাস্থ্যকর উপাদান থেকে তৈরি হয়। এর মধ্যে রয়েছে বাকহুইট (এক ধরণের আটা) এবং গমের আটা ব্যবহার করা হয়। এসব উপাদানে প্রোটিন ও ফাইবার বেশি থাকলেও খুবই কম ফ্যাট থাকে।

স্বাস্থ্যকর চা

জাপানিরা কার্বোনেটেড পানীয় বা কোমল পানীয়ের পরিবর্তে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি ও হার্বাল টি (ভেষজ চা) পান করেন। ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোসহ গ্রিন টির অনেক উপকারিতা রয়েছে। এছাড়াও এই চা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভালো উৎস; যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

খাদ্যাভাসের শৃঙ্খলা

জাপানিরা তাদের খাবারের সময় মেনে চলেন এবং দিনে বেশ কয়েকবার খাদ্য গ্রহণ করেন। তারা কখনোই সকালের খাবার খেতে ভুলেন না এবং তাদের সকালের খাবার অনেক বেশি পুষ্টিকর হয়। অন্যান্য দেশের তুলনায় তারা খুবই কম মিষ্টি জাতীয় খাদ্য খান। তাদের খাবার প্রচুর পরিমাণে খনিজ যেমন: পটাসিয়াম, ফাইবার এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। এছাড়াও অনেক জাপানি খাবারে মাছ ও বিভিন্ন সামুদ্রিক খাবার থাকে। এসব খাবার ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ; যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

Exit mobile version