ভাত নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। ভাত খেলে ওজন বাড়ে, স্থুলতাজনিত রোগ হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু ভাতকে পুষ্টিগুণহীন, অপকারী খাদ্য মনে করে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন তো ভুল করছেন।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, অনান্য সব খাবারের মতো নিত্যদিনের খাবার হিসেবে ভাত একটি উপকারী খাবার। আসুন বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জেনে নিই, ভাত খেলে কী উপকার মিলবে-
হজম ক্রিয়া সহজ হয়
ভাত একটি ফাইবার বা আঁশ সমৃদ্ধ খাবার। লক্ষ্য করে থাকবেন পুষ্টিবিদরা ওজন নিয়ন্ত্রনে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার উপদেশ দিয়ে থাকেন। কারণ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার দ্রুত এবং সহজে হজম হয়। তাই ভাত খেলেও হজম ক্রিয়া সহজ হয়। ভাতের বদলে দুইটি রুটি খেলে বরং হজমে কষ্ট হয়। কারণ গম বা আটাতে ভাতের চেয়ে ফাইবার কম থাকে।
দেহে শক্তি যোগায়
ভাত শর্করা জাতীয় খাদ্য দেখেই অনেকে মনে করেন এটি ক্ষতিকর। কিন্তু শর্করা জাতীয় খাবার দেহে শক্তি যোগায়। এক বাটি ভাত খেলে শরীর যে পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায়, তা অন্য যেকোনো খাবারের চেয়ে বেশি। সঙ্গে শরীরে মেটাবলিজম সক্রিয় রাখে ভাত।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে
ভাত মস্তিষ্ক থেকে সেরোটোনিন নামক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণে সাহায্য করে। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। তাই ভাত খেলে তৃপ্তি অনুভূত হয়।
শরীরে চর্বি জমে না
ভাতে কোলেস্টেরল এবং ট্রান্স ফ্যাট থাকে না বলে শরীরে চর্বি জমে না। ভাত অ্যামিনো এসিডের উৎস। আর আমাদের শরীরে অ্যামিনো এসিডের প্রয়োজনীয়তা অনেক।
রক্তসল্পতা কমায়
সাদা এবং লাল উভয় ভাতেই প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফোলেট রয়েছে যা রক্তসল্পতা কমাতে সাহায্য করে। ভাত এমন একটি খাবার যেটি খেলে সাধারণত কারও এলার্জি হয় না।
দিনে এক কাপ ভাত শরীরের জন্য অপরিহার্য। তিন বেলা খাবারের একবেলা এক কাপ ভাত, সঙ্গে বিভিন্ন সবজি এবং তরকারি দিয়ে খাদ্যতালিকায় রাখুন। সুস্থ থাকতে আর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়তা করবে ভাত।
কিন্তু যেকোনো খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া ক্ষতিকর। অনেকের জন্য ভাত অল্প পরিমাণে খাওয়া কঠিন কাজ। কিন্তু মনে রাখতে হবে ভাত বেশি খেলে এসব উপকারিতা না পেয়ে বরং অপকারিতাই দেখতে পাবেন।