সাইদুজ্জামান রেজা, পঞ্চগড়।।
পঞ্চগড়ের বোদায় পাঁচ বছর তিনমাস ধরে অবৈধভাবে বেতন উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে পহিরুল ইসলাম নামের এক চতুর্থ শ্রেনী কর্মচারীর বিরুদ্ধে। তিনি বোদা উপজেলার গাইঘাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় কর্মরত।বিষয়টি সুপারিন্টেন্ডেন্ট জানলেও অজানা কারণে তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।
মাদরাসা সূত্রে জানা যায়,পহিরুল ইসলাম ৪ র্থ শ্রেনী পদে ১৯৯৩ সালে চাকুরিতে যোগদান করে।পরে ১৯৯৭ সালে মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত হয়ে নিয়মিত বেতন ভাতা পান পহিরুল।নিয়ম অনুযায়ী একজন চাকুরিজীবী ৫৯ বছর পর্যন্ত চাকুরি করে বেতন ভাতা উত্তোলন করতে পারবেন।
কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বয়স বর্তমানে ৬৪ বছর ৩ মাস।তারপরও তিনি নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন।এতে ৫ বছরে প্রায় ৭ লাখ টাকা অবৈধভাবে আত্মসাত করেছেন মাদরাসা সুপারের সহযোগিতায়। তবে সুকৌশলে মাদরাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মকছেদ আলী, ২০২৩ সালের জাতীয় শিক্ষা জরিপের তথ্যে পহিরুল ইসলামের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ঠিক ব্যবহার করলেও জন্ম তারিখ ব্যবহার করেছেন ২ জানুয়ারি ১৯৭২।যদিও তার জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ৮ মে ১৯৫৯।
মাদরাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মো.মকছেদ আলী বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, তার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে,সংশোধন হলে হাল নাগাদ তথ্য প্রদান করা হবে।
বোদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পারভীন আকতার বানু বলেন, ৫৯ বছরের পরে সরকারি কোন বেতন ভাতা উত্তোলনের সুযোগ নেই।কেউ উত্তোলন করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।