শরীয়তপুরের মনোহর বাজার মোড় থেকে ইব্রাহিমপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত রয়েছে ৩৫ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক। সড়ক বন্ধ রেখে ফেরি চালু রাখায় ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।
গত ১৫ আগস্ট শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ হঠাৎ করেই চিঠি দিয়ে এই সড়ক বন্ধ করে দেয়। চিঠিতে বলা হয়, সড়ক নির্মাণের স্বার্থে আগামী ১৫ আগস্ট থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ২মাস বরিশাল-খুলনা থেকে শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করা যানবাহন পদ্মা সেতু ঘুরে চট্টগ্রাম এলাকায় গমন করবে।
শুধুমাত্র যাত্রীবাহী পরিবহন ও দেড় টন ধারণকৃত পণ্যবাহী পরিবহন বিকল্প সড়ক হয়ে ইব্রাহিমপুর ফেরিঘাট ব্যবহার করতে পারবে।
একটি ফেরিতে ৪০ থেকে ৪৫ টি গাড়ি ধারণ ক্ষমতা থাকায় ৩ থেকে ৪টি গাড়ি নিয়ে পারাপার করছে না ফেরি কর্তৃপক্ষ। ফলে এই পথের যাত্রী ও পণ্য পরিবহনকারীরা পড়েছে চরম বিপাকে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ১০টায় ফেরিঘাটে পৌঁছানো পরিবহন রাত ১০টায় ছাড়বে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই বলে কোন কোন যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করেই মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন।
পরিবহনের চালক মজিবুর রহমান বলেন, আমরা সকাল সোয়া দশটার দিকে ঘাটে এসে পৌঁছেছি এখন বিকেল চারটা বাজে প্রায় শুধুমাত্র একটি পরিবহন ও দুইটি এক টন ধারণকৃত পিক আপ এসেছে। মাত্র তিনটি গাড়ি নিয়ে ফেরি ছাড়ছে না কর্তৃপক্ষ। তাই যাত্রীদের নিয়ে চরমভাবে বিপাকে পড়েছি আমরা।
ফেরিঘাট ম্যানেজার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ফেরি একবার আসা-যাওয়া করলে খরচ হয় অন্তত ১৮ হাজার টাকা। তিন থেকে চারটি গাড়ি নিয়ে পারাপার করলে যে লোকসান গুনতে হয় তা কর্তৃপক্ষ ভর্তুকি দেয় না। আমাদের নির্দেশনা আছে ফেরি সম্পূর্ণ ভরার পরেই ছাড়তে হবে।’
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূইয়া রেদওয়ানুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মনোহর বাজার থেকে ইব্রাহিমপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কটি খারাপ অবস্থায় ছিল। যাতায়াতের সুবিধার্থে আমরা সড়কটি উন্নয়নের কাজ করছি। সড়কটির বুড়িরহাট বাজার ও ভেদেরগঞ্জ বাজারের প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ করে সড়ক উন্নয়ন করা হচ্ছে। আরসিসি সড়ক নির্মাণ করার কারণে সড়কটি ব্যবহার করতে পারছে না। এতে জনসাধারণের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। আশা করি আমাদের দুই মাস সময়ের মধ্যেই এ সড়ক উন্নয়নের কাজ শেষ হবে।