রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে রাশিয়া যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। ধারণা করা হচ্ছে, এ বৈঠকে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর শস্য চুক্তি নবায়নের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র ও প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ। খবর আল-জাজিরার।
তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী রাশিয়ার পর্যটন শহর সোচিতে এই বৈঠক হবে। তবে এরদোয়ান ঠিক কবে রাশিয়ায় যাবেন সে বিষয়ে কোনও তথ্য জানায়নি এরদোয়ানের কার্যালয়।
এদিকে পুতিন ও এরদোয়ানের বৈঠক সামনে রেখে এরইমধ্যে মস্কোতে রয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। বৃহস্পতিবার তিনি ব্রিফিংয়ে জানান, কৃষ্ণ সাগর শস্যচুক্তি নবায়ন পুরো বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একইদিন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর সংস্থা মহাসচিব, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কৃষ্ণ সাগর শস্য চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব দিয়েছে।
২০২২ সালে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে কৃষ্ণসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গম রফতানিকারী দেশ ইউক্রেনের শস্যগুদামগুলোতে আটকা পড়ে লাখ লাখ টন গম, ভুট্টা, ও সূর্যমুখীর বীজ।
এতে ইউরোপ ও এশিয়ার বাজারগুলোতে গম ও ভোজ্যতেলের যোগান সংকট শুরু হয়, ফলে বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়তে থাকে খাদ্যশস্য আর ভোজ্যতেলের দাম। এই পরিস্থিতিতে ২০২২ সালের আগস্টে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গত বছর আগস্টে চুক্তি সম্পাদনের পর থেকে এ পর্যন্ত কয়েক দফা এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ মেয়াদ বৃদ্ধির সময়সূচি অনুযায়ী, ১৭ জুলাই ছিল এই চুক্তির শেষ দিন।
চুক্তি সম্পাদনের আগে নিজেদের উৎপাদিত সার, শস্য ও অন্যান্য কৃষিপণ্যের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্ত দিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ সেই শর্ত না মানায় মেয়াদের শেষ দিন চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় রাশিয়া।