চেলসিতে থাকতে তাকে এই গ্রহের সেরা ফুটবলারদের একজন হিসেবেই ধরা হতো। রিয়াল মাদ্রিদও তাই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শূন্যস্থানটা তাকে দিয়েই পূরণ করতে চেয়েছিল। তিনিও চেয়েছিলেন স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে নিজেকে আরও ওপরে নিয়ে যেতে। কিন্তু হিতে বিপরীত হয়েছে। এক সিদ্ধান্তেই আজ ফুটবলকে বিদায় বোলার দ্বারপ্রান্তে তিনি। বলছি এডেন হ্যাজার্ডের কথা।
প্রিমিয়ার লিগ চেলসির হয়ে নিজেকে অনন্য এক জায়গাতেই নিয়ে গিয়েছিলেন হ্যাজার্ড। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির পর তৃতীয় সেরা খেলোয়াড়ের তর্কে নেইমার, সুয়ারেজদের সঙ্গে তার নামটাও আলোচনায় থাকত। ২০১৮ বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্সে বেলজিয়ামকে সেমিফাইনালে তুলে আসরের দ্বিতীয় সেরার পুরস্কার সিলভার বলও জিতেছিলেন তিনি।
২০১৮ সালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়লে পরের বছর তাকে ক্লাবের রেকর্ড ট্রান্সফার ফি’র বিনিময়ে তাকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নিয়ে আসে মাদ্রিদের দলটি। শৈশবের স্বপ্নের ক্লাবে খেলার ইচ্ছাটা অবশেষে পূরণ হয় এই বেলজিয়ানের। কিন্তু এটাই যে তার পতনের শুরু তা কে জানতো! ইনজুরি আর ফর্মহীনতায় রিয়ালের রাজকীয় জার্সি গায়ে চাপিয়ে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন কই! উল্টো ক্লাবটির ইতিহাসের অন্যতম বাজে সাইনিংয়ের তকমাই গায়ে চেপেছে হ্যাজার্ডের।
২০২২-২৩ মৌসুমের শেষে বাধ্য হয়ে রিয়াল মাদ্রিদ হ্যাজার্ডের সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করে। তখনও ক্লাবটির সঙ্গে এক বছরের চুক্তি বাকি ছিল তার। কিন্তু বোঝা টানতে টানতে ক্লান্ত রিয়াল আর রাজি হয়নি। হ্যাজার্ডও তিক্ততা বাড়াননি। ক্লাব ছেড়ে তিনি এখন ফ্রি এজেন্ট।
কাতার বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের বাজে পারফরম্যান্সের পর জাতীয় দলকে বিদায় বেল দেওয়া এই তারকা এখনও ক্লাব খুঁজে পাননি। ১ সেপ্টেম্বর ইউরোপের দলবদলের জানালা বন্ধ হয়ে যাবে। তার আগে কোনো ক্লাবে যাওয়ার সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে না আর।
অথচ হ্যাজার্ড যখন রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়েন তখন শোনা যাচ্ছিল প্রিমিয়ার লিগেই ফিরছেন তিনি। ক্রিস্টাল প্যালেস তাকে দলে নিতে চায়, এমনটাই শোনা যাচ্ছিল।
হ্যাজার্ডকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী সৌদি লিগ ও মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দলও। ফ্রান্সের তিন দল – নিসে, মার্শেই ও হ্যাজার্ডের সাবেক ক্লাব লিলেও আগ্রহী তাকে নিয়ে। তুর্কি ক্লাবও চায় তাকে। কিন্তু হ্যাজার্ড নিজেই আদৌ আর ফুটবল খেলতে চান কিনা তা নিয়েই সন্দেহ আছে। এমনটাই জানিয়েছে ফুট মারকেতো।
ফুটমারকেতোর দাবি, ফুটবল মাঠ থেকে চিরদিনের জন্য বুটজোড়া তুলে রাখার কথা ভাবছেন হ্যাজার্ড। এই বেলিজিয়ান তারকা পরিবারের সঙ্গে অবসর সময় কাটানোটাই বেশি উপভোগ করছেন তাই আর ফুটবলে ফেরার ইচ্ছা নেই তার।
শুধু তাই নয়, যখন তখন হ্যাজার্ড অবসরের ঘোষণাও দিয়ে বসতে পারেন বলে দাবি করেছে সংবাদমধ্যমটি।