যুক্তরাষ্ট্রের বেপরোয়া তৎপরতায় পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। দেশটির নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলোর উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং সেনা মোতায়েনের জেরে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে কোরীয় উপদ্বীপ।
দিন দিন উত্তেজনা বেড়েই চলেছে কোরীয় উপদ্বীপে। পিয়ংইয়ং’র গুপ্তচর সামরিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর নড়েচড়ে বসেছে ওয়াশিংটন ও সিউল। চলমান উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) উত্তর কোরিয়া সীমান্তের কাছে আবারও যৌথ নৌ মহড়া চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। যেকোনো ‘জরুরি পরিস্থিতি’ সামাল দেয়ার প্রস্তুতি হিসেবেই এই মহড়া চালানো হয়েছে বলে জানায় সিউল।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
দেশটির নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন অভিযোগ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বেপরোয়া তৎপরতায় পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে। ওয়াশিংটন ও এর মিত্রদের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং সেনা মোতায়েনের জেরে কোরীয় উপদ্বীপ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে বলেও দাবি করেন তিনি। অঞ্চলটিতে যেকোনো মহড়াকে উত্তর কোরিয়ায় আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়ার সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হলেও, তা নিয়ে সতর্ক অবস্থায় আছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। ভবিষ্যতে এ ধরনের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলে তা দেশটির ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার শামিল হবে বলে আগেই কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বাইডেন প্রশাসন।
যদিও মার্কিন হুঁশিয়ারি আমলে না নিয়ে আবারও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ইঙ্গিত দিয়েছে কিম জং উন প্রশাসন।