মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী প্রতিনিধি।।
রাজবাড়ীর পাংশায় সাব-রেজিস্টার,দলিল লেখক ও স্বাক্ষীদের নাম উল্লেখ করে নুজদারী বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
গত রোববার রাজবাড়ী আদালতে সাব-রেজিস্টার সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন নুজদারী বিশ্বাস। তিনি পাংশা পৌর এলাকার রতন বিশ্বাসের ছেলে। সে জমি কেনা-বেচা (দালালী) করেন বলে জানান নিজেই।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম রফিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলাটি আদালত আমলে নিয়েছে এবং তদন্তের জন্য সিআইডির উপর দিয়েছে।
মামলার আসামীরা হলেন,পাংশা পৌর এলাকার মৃত বিনোদ কুমার সরকারের ছেলে খিরোদ কুমার সরকার(দলিলের দাতা), আজিজুল ইসলাম (স্বাক্ষী),আকবর আলী মন্ডল (স্বাক্ষী),বাসনা সরকার (দলিলের গ্রহীতা), মোঃ রাসেল মন্ডল ইসলাম মিঠু (স্বাক্ষী ও সনাক্তকারী), শাকিল আহমেদ সুজন(দলিল লেখক) ও মো: সাখাওত হোসেন সুমন (সাব-রেজিস্টার)।
বাদী নুজদারী বিশ্বাস এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সরিষা ইউনিয়নের প্রেমটিয়া এলাকার মৃত পুষ্প চন্দ্র শর্মার ছেলে সূর্য কুমার শর্মা কাছ থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা মূল্যে চলতি বছরের ১৪ জুন ৫৬০৭ দাগে ৩ শতাংশ জমি পাওয়ার আব এট্যানি দলিল করি।তবে তার কিছুদিন পর আসামী খিরোদ কুমার সরকার আমার জমির দাতার (সূর্য কুমার শর্মা) ভাই রাজ কুমার শর্মা কে দাতা দেখিয়ে ২৭/১২/১১ তারিখ মুলে একটা পাওয়ার আব এট্যানির বলে চলতি মাসের ১ তারিখে ওই তিন শতাংশ জমি অন্য আসামী বাসনা সরকারের নামে কবলা দলিল করে দেন।মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে একই জমি দুইবার রেজিষ্ট্রেশন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই জমির মূল মালিক রাজ কুমার শর্মা চিকিৎসার জন্য ভারত গেলে সেখানেই মারা যায়।ফলে এই জমির মালিক সূর্য কুমার শর্মা(আমার জমির দাতা) হন।
খিরোদ কুমার সরকার(দলিলের দাতা) বলেন, আমি নিজ নামে রাজ কুমার শর্মার কাছ থেকে ২০১১ সালে ওই তিন শতাংশ জমির পাওয়ার আব এট্যানি করি।এত বছর যাবত আমি ওই জমির উপর মন্দির সহ বসতবাড়ি করে আসছি।সম্প্রতি ওই জমি আমার স্ত্রীর নামে কবলা দলিল করেছি।
দলিল লেখক শাকিল আহমেদ সুজন বলেন, একটি জমি রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে যেসব সরকারি নিয়মনীতি থাকে তার সব কিছু সঠিক ভাবে সম্পুর্ন করে এই জমি রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে।
পাংশা সাব-রেজিস্টার অফিসের চলিল লেখক ও স্টাম্প ভেন্ডার সমিতির সভাপতি জালাল উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত এই অফিসের চলিল লেখক ও স্টাম্প ভেন্ডার সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। আজ অব্দি কখনো শুনতে পাই নাই এখানে জাল দলিল হয়।যারা এমন অভিযোগ এসেছে তার মিথ্যা ও বানোয়াট।
পাংশা সাব-রেজিস্টার মো: সাখাওত হোসেন সুমন বলেন, সরকারি বিধিমতাবেক সকল আইন-কানুণ মেনেই ওই দলিল করা হয়েছে। এই দলিলের ক্ষেত্রে আমাদের কোন গাফলতি নাই।তবে একই জমির কিভাবে দুইবার খাজনা কাটা হয়েছে সেটা ভূমি অফিস ভালো বলতে পারবে।