দেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জন্য অগ্রাধিকার আয়কর নীতির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশি কর্মীদের জন্য বিশেষ কর হারের মেয়াদ ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, বিদেশিদের জন্য কর অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত রাখছে চীন। এর মাধ্যমে বিদেশি ব্যবসায়ী ও কর্মীরা বাড়িভাড়ায় ভর্তুকি, ভাষাগত প্রশিক্ষণ ও সন্তানদের শিক্ষাব্যবস্থায় করমুক্ত সুবিধা পাবে, যা চীনে ব্যবসার বিদেশি ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়াবে।
চলতি মাসের শুরুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন চেম্বার অব কমার্স ২০২৩ সালের পরও বিদেশি কর্মীরা এই সুবিধা পাবে কি না, তা জানাতে চীনা কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানাল চীন। মূলত বিদেশি কর্মীদের জন্য বিশেষ কর হারের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল, যা বাড়িয়ে ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
ইউরোপীয় চেম্বার জানায়, বিদেশি নাগরিকদের জন্য পৃথক আয়কর ব্যবস্থা বা আইআইটির মেয়াদ চার বছর বাড়িয়েছে চীন, যা বিদেশিদের জন্য ইতিবাচক সংবাদ। এর মাধ্যমে চীনে বিনিয়োগে বিদেশিদের আগ্রহ বাড়বে।
অন্যদিকে সম্প্রতি দেশে বিদেশি বিনিয়োগে আকর্ষণ বাড়াতে ২৪টি নির্দেশনা দিয়েছে চীনের স্টেট কাউন্সিল। নির্দেশনায় বলা হয়, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অধিকার রক্ষা করা হবে। পাশাপাশি তাদের স্বার্থ সুরক্ষা বাড়ানো হবে। এ জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ অধিকার আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিদেশি বিনিয়োগে পরিচালিত উদ্যোগগুলোকে আরও বেশি রাজস্ব সহায়তা ও কর প্রণোদনা দেয়ার নির্দেশনাও দিয়েছে স্টেট কাউন্সিল। এর ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পুনর্বিনিয়োগ করলে অস্থায়ীভাবে আয়কর অব্যাহতি দেয়া হবে।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রবাহের জন্য সহজ ও নিরাপদ তথ্য ব্যবস্থাপনা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে স্টেট কাউন্সিল। মূলত আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তা ও চীনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে এই প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, জিরো কোভিড নীতি থেকে সরে আসার পরও ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি চীনের অর্থনীতি। এখন পর্যন্ত বিদেশি উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে বেইজিং।