দীর্ঘ ৬৫ বছরেও ময়লা না ফেলার জায়গা নির্ধারণ করতে পারেনি ঠাকুরগাঁও পৌর কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তন আর নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও আবর্জনা স্থান বদলায়নি। বছরের পর বছর শহরের আশপাশে যত্রতত্র ফেলে রাখা ময়লা ভাগাড়ের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরবাসী।
ঠাকুরগাঁও শহরের বাসস্ট্যান্ড, গোবিন্দনগর, স্টেশন এলাকাসহ বেশকিছু স্থানে প্রতিদিনিই ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। পৌর কর্তৃপক্ষের কর্মচারিরাই ফেলছে ময়লা।
শুধু তাই নয় পৌরসভার গাড়িতে করে আনা ময়লা রাস্তার পাশে যত্রতত্র ফেলতে দেখে এ সুযোগে ইএসডিও নামে স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও একই কাজ করছে। হাতে নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে কর্মচারীরা ভ্যানযোগে সমানতালে একই স্থানে ফেলছে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা।
তাদের এমন কর্মকাণ্ডে অবাক পৌরবাসী। তারা বলছেন, শহরের অবস্থা বিবেচনায় এটি কেবল কাগজ কলমেই প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। এমন অবস্থায় পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি দুর্ভোগের যেন শেষ নেই স্থানীয়দের। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায় সবাই।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ নিজেরাই যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলছে। দীর্ঘ ৬৫ বছরেও ময়লার স্থান নির্বাচন করতে পারেনি। অথচ প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। এটি হচ্ছে জন ভোগান্তির পৌরসভা। সাধারণ মানুষ রীতিমতো বিরক্ত। দ্রুতই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতনদের দৃষ্টি কামনা করেন তারা।
পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বণ্যা জানান, শহরের খালগুলো ভরাট করতেই আশপাশে ময়লা ফেলা হচ্ছে। জায়গার অভাবে নির্ধারিত স্থানে ময়লা ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। জেলা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে জায়গার বিষয়ে। এরইমধ্যে বেশকয়েকটি স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। সকলের সহযোগিতা পেলে এমন ভোগান্তির নিরসন হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান জানান, ময়লার জায়গা নির্ধারণ করে লিখিতভাবে সহায়তা চাইলে শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান নির্বাহী কর্মকর্তা।
১৯৫৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে এটি ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। বর্তমানে পৌর এলাকা প্রায় দেশ লাখ মানুষের বসবাস।