মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি।।
শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন, গণকবর জিয়ারত, আলোচনা সভা ও শদীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনার মধ্যদিয়ে নওগাঁর মান্দায় ঐতিহাসিক পাকুড়িয়া গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। শহীদ পরিবার কল্যাণ ব্যবস্থাপনা কমিটি, পাকুড়িয়া ইউনাইটেড উচ্চবিদ্যালয় ও এলাকাবাসীর আয়োজনে সোমবার বেলা ১১টার দিকে বধ্যভূমি চত্বরে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক এমপি।
পাকুড়িয়া ইউনাইটেড উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল লতিফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মন্ডল, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান মকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আবদুল মান্নান ও আবদুল লতিফ শেখ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপিনেতা ডা. ইকরামুল বারী টিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্রহানী সুলতান গামা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক গোপাল চন্দ্র প্রামানিক, এমপি পুত্র সেফায়েত জামিল প্রামাণিক সৌরভ, ভারশোঁ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, সাবেক চেয়ারম্যান ব্রজেন্দ্রনাথ সাহা, বীরমুক্তিযোদ্ধা খোদাবক্স মিয়া, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল জলিল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, একাত্তরের ২৮ আগস্ট সকালে পাকহানাদার বাহিনী নওগাঁর মান্দা উপজেলার পাকুড়িয়া ও বিল উথরাইল গ্রামের নিরীহ গ্রামবাসীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ইউনাইটেড উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসে। পরে তাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করা হয়। এ হত্যাযজ্ঞে শহীদ হন ১২৮ জন নিরীহ মানুষ। সেদিন সৌভাগ্যেক্রমে বেঁচে যান ১৭ জন। সেই থেকে প্রতিবছর শহীদদের স্মরণে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।