Homeআন্তর্জাতিকসহপাঠীদের দিয়ে মুসলিম ছাত্রকে চড়, যা বললেন সেই শিক্ষিকা

সহপাঠীদের দিয়ে মুসলিম ছাত্রকে চড়, যা বললেন সেই শিক্ষিকা

ভারতে সহপাঠীদের দিয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীকে চড় মারানোর ঘটনায় মুখ খুলেছেন তৃপ্তা ত্যাগী নামক ওই শিক্ষিকা। তার দাবি এটি একটি ‘ছোট ঘটনা’। অযথাই এটাকে বড় করা হচ্ছে।

এই ঘটনার সাম্প্রদায়িক দিক অস্বীকার করে তৃপ্তা ত্যাগী বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী সেদিন হোম ওয়ার্ক করেনি, যার কারণে তিনি তার সহপাঠীদের তাকে চড় মারতে বলেন। কারণ, ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের নির্দেশ ছিল ওর সঙ্গে কঠোর ব্যবহার করার। কিন্তু আমি যেহেতু প্রতিবন্ধী তাই আমি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দিয়েছি তাকে চড় মারতে, যেন সে হোমওয়ার্ক করে নিয়ে আসে।’

ভিডিওটিতে করা ইসলাম-বিদ্বেষী মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন, বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে মোড় ঘোরানোর জন্য ভিডিওটিকে এডিট করা হয়েছে। তিনি বলেন, ক্লাসে ওই শিক্ষার্থীর চাচাতো ভাইও উপস্থিত ছিল। সেই এই ভিডিওটি ধারণ করেছে এবং পরে সেটি ভাইরাল করেছে।

তৃপ্তা ত্যাগী বলেন, ‘এটি খুবই ছোট একটি ঘটনা। কিন্তু ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর এটি বিশালাকার ধারণ করেছে। এটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। আমি আমার ভুল স্বীকার করছি, কিন্তু এই বিষয়টি অযথাই বড় করা হয়েছে।’

ত্যাগী বলেন, আমি রাজনীতিবিদদের বলতে চাই এটা খুবই ছোট ঘটনা। রাহুল গান্ধীসহ অন্যান্য নেতারাও এটা নিয়ে টুইট করেছেন কিন্তু এটা টুইট করার মতো বড় কোনও বিষয় না। যদি এভাবেই প্রতিদিনের ঘটনা ভাইরাল হয়ে যায়, তাহলে শিক্ষকেরা কীভাবে পড়াশুনা করাবেন?’

এ বিষয়ে মুজাফফরনগরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অরবিন্দ মাল্লাপ্পা বাঙ্গারি বলেছেন, ‘ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর রেজিস্ট্রার হয়েছে।’

ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যায়, ক্লাসে নিজের চেয়ারে বসে আছেন ওই শিক্ষিকা। তার টেবিলের ডান পাশে দাঁড়িয়ে এক ছাত্র। শিক্ষিকা ক্লাসের অন্য ছাত্রদের ওই ছাত্রকে চড় মারার নির্দেশ দিচ্ছেন। আর এক এক করে এসে তার গালে চড় মারছে ছাত্ররা। এ সময় ওই ছাত্রের চোখে পানি দেখা যায়। এখানেই শেষ নয়, ওই ছাত্রকে লক্ষ্য করে ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্য করতেও শোনা যায়। শিক্ষিকা বলেন, ‘আমি জানিয়ে দিয়েছি, সব মুসলিম শিশুকেই স্কুল ছাড়তে হবে।’

এরপর ভিডিওর এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওই শিক্ষিকা তার ছাত্রদের ওই শিক্ষার্থীকে আরও ‘জোরে’ চড় মারার জন্য বলছেন। এতে তার গাল লাল হয়ে গেলে তার কোমরে আঘাত করার জন্য বলেন তিনি। এই ঘটনায় হইচই পড়ে গেছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও প্রতিবেদন হয়েছে।

ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ভারতের একটি ঘটনার ভিডিও ফুটেজ। এতে এক শিক্ষিকাকে ৭ বছর বয়সী এক মুসলিম ছাত্রকে চড় মারতে তার অন্য ছাত্রদের নির্দেশ দিতে দেখা যাচ্ছে। এমনকি ধর্মের কারণে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করার কথাও বলছেন। এ ঘটনায় দেশটিতে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

সর্বশেষ খবর