রাতভর অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতাসহ দুর্যোগ পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন ২৯টি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা একঘণ্টা পিছিয়ে শুরু হয়েছে। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে মহানগরীর সব কেন্দ্র এবং হাটহাজারী উপজেলার দুটি।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রোববার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ২৯টি কেন্দ্রে একঘণ্টা পিছিয়ে ১১টা থেকে শুরু হয়েছে।
দেশের তিনটি শিক্ষাবোর্ড ছাড়া বাকি সব বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে গত ১৭ আগস্ট থেকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা দশদিন পিছিয়ে আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
কোভিড মহামারির পর এবার পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন চট্টগ্রাম মহানগরী ও পাঁচ জেলার শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার ২৭৯টি কলেজ থেকে এক লাখ দুই হাজার ৪৬৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগরসহ জেলার মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৭২ হাজার ৬২০ জন। কক্সবাজার জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৩২১, রাঙামাটিতে ৫ হাজার ৫৪০, খাগড়াছড়িতে ৭ হাজার ১০৮ জন ও বান্দরবান জেলায় ৩ হাজার ৮৭৯ জন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, আমাদের মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ১১৩টি। সব কেন্দ্রের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। মহানগরে মোট ২৭টি কেন্দ্র। সেগুলোর পরীক্ষা এক ঘণ্টা পেছানো হয়েছে।
তিনি জানান, বৃষ্টির কারণে বিভিন্নস্থানে পানি উঠে গেছে, পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে সময় লেগেছে। এছাড়া হাটহাজারীতে সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। সেখানে ফতেয়াবাদ কলেজ ও কুয়াইশ কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা এক ঘণ্টা পিছিয়ে শুরু হয়েছে।
এদিকে রাতভর বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। সকাল গড়িয়ে গেলেও জোয়ারের কারণে পানিবন্দি ছিল বিভিন্ন এলাকা। অনেক পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনের সড়কও পানিতে ডুবে ছিল। এছাড়া বৃষ্টির কারণে সড়কে যানবাহনও ছিল স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম। ফলে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।