করোনা মহামারির পর এশিয়া মহাদেশের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রায় ৭ কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। মূলত মুদ্রাস্ফীতি তথা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে এই বিশাল সংখ্যক মানুষ অতি দারিদ্র্যের কবলে পড়েছে। ফিলিপিন্সভিত্তিক এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে এডিবি জানিয়েছে, ২০২২ সালে এশিয়ার দেশগুলোতে অতি দরিদ্র মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ কোটি ৫০ লাখে।
যা করোনার আগের সময়ের চেয়ে অন্তত ৬ কোটি ৭৮ লাখ বেশি। অর্থাৎ করোনা সম্পর্কিত নানা বিধিনিষেধ ও দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কারণে নতুন করে এই বিশাল সংখ্যক মানুষ অতি দরিদ্রের খাতায় যোগ হয়েছে।
এডিবির হিসাবে, আগের বছরের (২০২০) তুলনায় ২০২১ সালে এই অঞ্চলে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৭৫-৮০ লাখ বেড়েছিল।
বিশ্বব্যাংকের হিসেবে যেসব মানুষের দৈনিক আয় ২ দশমিক ১৫ ডলারের কম, তারাই অতি দরিদ্র। ২০১৭ সালের পণ্যের দাম হিসেব করে এই সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছিল বিশ্বব্যাংক। যদিও তার পর সবকিছুর দাম বেড়েছে আরো কয়েক গুণ।
অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনতে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর নীতিনির্ধারকদের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।
এক্ষেত্রে সামাজিক কল্যাণ জোরদার, আর্থিক পরিষেবাগুলো আরও জনবান্ধব করা, অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করা ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে সহায়তা দেয়ার মতো বিষয়গুলোতে নজর দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।