মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥
শরীয়তপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবন সংলগ্ন স্থানে ৩টি দোকানঘর ভেঙ্গে দিয়ে প্রায় ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি জবরদখল করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী শামীম হোসেন টিপু কোতোয়াল ও তার মা কামরুন্নাহার মিনু বেগম।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় পালং গ্রামের নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন যে, সদর উপজেলার ৬০নং পালং মৌজার বিআরএস ৪৬৭ খতিয়ানের ৩১০২ নং দাগের ২৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ জমির উপর বিদ্যমান টিনের দোকানঘর উত্তোলন করে সরকারের খাজনা পরিশোধ করে মরহুম সিরাজুল হক কোতোয়ালের স্ত্রী কামরুন্নাহার ও তার একমাত্র প্রতিবন্ধী ছেলে টিটু কোতোয়াল নিজ নামে রেকর্ডকৃত দোকানে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছেন।
শরীয়তপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও স্থানীয় রবিন কর্মকার তাদের সহযোগীদের নিয়ে আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ১১ আগস্ট ভোরে কাউকে না জানিয়ে জোরপূর্বক ৩টি দোকানঘর ভাংচুর ও দোকানের মালামাল লুটপাটসহ প্রায় ৩৩ শতাংশ জায়গা দখল করেছে যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৮ কোটি টাকা।
টিটু কোতোয়াল জানান, ৩টি দোকান ঘর ভাংচুর করে মালামাল নিয়ে যাওয়ায় তার আরো ১৫/২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টিটু কোতোয়াল বলেন, আমি জন্মগতভাবে ২ পা পঙ্গু প্রতিবন্ধী বলে কেউ আমাকে সাহায্য করছেনা। আমি অসহায়।
শরীয়তপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পৗরসভা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি ৩১০১ নং দাগের জমি ক্রয় করেছি। টিটু ও তার মা কামরুন্নাহার আমার জমিতে দোকানপাট তুলে ব্যবসা বাণিজ্য করছে। বার বার দরবার করে তাদেরকে জমি পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণের জন্য বলা হলেও তারা কোন তোয়াক্কা করছেনা।
তাই আমি আমার জায়গা থেকে ঘর সরিয়ে দিয়েছি। পালং মডেল থানার ওসি মোঃ আকতার হোসেন বলেন, আমি ঊভয়ের কাগজপত্র দেখে পরিমাপ করে মীমাংসা করে দিতে চেষ্টা করবো। মীমাংসা করতে ব্যর্থ হলে যদি কোন পক্ষ অভিযোগ করে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিব।