এস এম আলতাফ হোসাইন সুমন, লালমনিরহাট।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অর্থের বিনিময়ে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ভিডব্লিউবি কর্মসূচী আওতায় হতদরিদ্র পরিবারের নাম বাদ দিয়ে পরিপত্র বহিভুত অনেক সম্ভান্ত পরিবারের সদস্য- যারা একাধিক পাকা বাড়ী ও জমির মালিক তাদের নাম মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তালিকায় অন্তভূক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ ও নিয়ম বহিভুত ভাবে করা ব্যাক্তিদের নামের তালিকা হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও এ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ভিজিডি ভিজিএফ এর কার্ড প্রদান সহ নিজের লোক জনদেরকে সুবিধা পাইয়ে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে-ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হক ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ভিডব্লিউবি কর্মসূচীর আওতায় অত্র ইউনিয়নের প্রকৃত হতদরিদ্র পরিবারকে তালিকা ভুক্ত না করে একাধিক বাড়ির ও জমির মালিক এমন ব্যাক্তিদের তালিকায় অন্তভূক্ত করলে বিষয়টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ সাত্তার ও সম্পাদক প্রদীপ কুমার বর্ম্মন জানতে পেরে তালিকা সংশোধনের জন্য হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজির হোসেন বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ঘটনার সত্যতা জেনে একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা পারভিন কে নির্দেশ দেন। কিন্তু উক্ত কর্মকর্তা অভিযোগের তিন মাস অতিবাহিত হলেও কোন তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল না করে চেয়ারম্যানের সাথে যোগসাজশ করে তার তালিকা বহাল রেখে ১ম ২য় ও ৩য় কিস্তির চাল বিতরণ করেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হকের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয়, আমি পরিপত্রের নির্দেশনা মোতাবেক সুবিধাভোগীদের তালিকা করেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তালিকা জমা দেয়। তারা আমাকে চাল বিতরনের নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজির হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান ভিডব্লিউবি’র সুবিধাভোগীর তালিকায় পরিপত্র বহিভুত ব্যাক্তিদের নাম তালিকা ভুক্ত করার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি যাহা তদন্তের জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার বিষয়ে সত্যতার প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তালিকা সংশোধন না করে চাল বিতরন সংক্রান্ত ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান যেহেতু এখন পর্যন্ত তদন্তের প্রতিবেদন আমি পাইনি তাই চাল বিতরনের জন্য চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।। তরে পাকা বাড়ির ও জমির মালিক এমন কাউকে পেলে তার চাল ফেরতসহ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।