ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে রাজধানীতে সুধী সমাবেশ করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আগামী ২ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের দিন এই সমাবেশে জনসমুদ্র তৈরি হবে বলে আশাবাদী দলের শীর্ষ নেতারা।
সমাবেশ সফল করতে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢাকা ও আশপাশের জেলার সাংগঠনিক টিমের সঙ্গে বৈঠক করেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেয়ররা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অন্ধকারের শক্তি চ্যালেঞ্জ করছে, আমাদের লড়তে হবে। নির্বাচন বানচাল করবে, সেটি আর সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সাম্প্রদায়িকতা আর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়বে।’
বৈঠকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, ‘২ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে জনসমুদ্র সৃষ্টি করা হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের দেখানো হবে ঢাকা আমাদের দখলে।’
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, যে দলের সঙ্গে দেশের জনগণ রয়েছে, বিদেশিরা সে দলকে ক্ষমতা থেকে হটাতে পারে না। শেখ হাসিনার সরকার দেশে কিংবা বিদেশে কোথাও বন্ধুহীন নয় বলেও মন্তব্য করেন তারা।
তারা আরও বলেন, উন্নয়ন করবে শেখ হাসিনা আর দেশের মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে, তা সম্ভব নয়।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের দিন বিকেলে পুরানো বাণিজ্য মেলার মাঠে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। পরদিন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। আর যান চলাচলে আপাতত সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। তার মানে ১০ মিনিটে কাওলা থেকে ফার্মগেট যাওয়া যাবে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থ্রি হুইলার ও মোটরবাইক চলাচল করবে না বলেও জানান তিনি।
বর্তমান প্রকল্পে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণ কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। এ অংশের মেইন লাইনের দৈর্ঘ্য ১১.৫ কিমি এবং র্যাম্পের দৈর্ঘ্য ১১.০ কিমি। র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ২২.৫ কিমি। এ অংশে ওঠানামার জন্য মোট ১৫টি র্যাম্প (এয়ারপোর্ট-২, কুড়িল-৩, বনানী-৪, মহাখালী-৩, বিজয়সরণি-২ ও ফার্মগেট-১) রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি র্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।