আগেরবার শেষ মুহূর্তে গিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল চন্দ্রযান-২। তবে এবার চন্দ্রযান-৩ নিয়ে ফের আশায় বুক বেধেছে ভারত। আর সেই আশার সঙ্গে বাড়ছে স্নায়ুচাপও, বিশেষ করে অবতরণের শেষ ২০ মিনিট নিয়ে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধবার (২৩ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে চাঁদের মাটিতে অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। চাঁদে পৌঁছাতে ৪০ দিনের মতো লাগছে ভারতীয় এই মহাকাশযানটির।
এর আগে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বুধবার বিক্রমের অবতরণের জন্য পরিস্থিতি যদি অনুকূল না হয়, তাহলে অবতরণ পিছিয়ে দেয়া হতে পারে। যদিও মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে, নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করবে বিক্রম।
ইসরো জানিয়েছে, প্রোপালশন মডিউল ও ল্যান্ডার আলাদা হওয়ার পর থেকে দুই দফায় বিক্রমের গতি কমিয়ে সেটি চাঁদের আরও কাছে নিয়ে আসা হয়েছে। অবতরণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ল্যান্ডারের গতিবেগ কমিয়ে আনার এই প্রক্রিয়া। দুই দফায় সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে ইসরো। এখন অপেক্ষা শুধু সফল অবতরণের। উল্লেখ্য, গতি কমিয়ে কক্ষপথ বদলের সময়ই সম্প্রতি চাঁদের মাটিতে বিধ্বস্ত হয়েছে রুশ মহাকাশযান লুনা-২৫।
জানা গেছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে অবতরণ করার কথা এই মহাকাশযানের। এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
অবতরণের দিনে ‘বিক্রম’ যখন চাঁদের মাটি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকবে, তখন ল্যান্ডার মডিউলটি পালকের মতো করে চাঁদের মাটির দিকে নামতে শুরু করবে। এর জন্য লাগবে মোট ২০ মিনিট। আর এই ২০ মিনিটই দমবন্ধ অবস্থা হবে ইসরোর বিজ্ঞানী এবং গোটা ভারতবাসীর।
এর আগে, চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার। তবে সেই অভিযান বিফলে যায়নি। এখনও চন্দ্রযান-২ এর অর্বিটার চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে বেড়াচ্ছে। ইসরো জানিয়েছে, সেই অরবিটারের সঙ্গেই সংযোগ স্থাপন করেছে চন্দ্রযান-৩ অভিযানের ল্যান্ডার ‘বিক্রম’।