বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে ভাসছে স্পেন। মাদ্রিদে রাজসিক সংবর্ধনা পেল স্পেন নারী ফুটবল দল। খোলা বাসে এয়ারপোর্ট থেকে প্যারেড করে মাদ্রিদে নিয়ে যাওয়া হয় দলকে। সেখানে লাখো ভক্তের সামনে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় ফুটবলারদের জন্য।
২০১০ সালে স্বপ্নীল সোনালী ট্রফি গিয়েছিল স্পেনে। তার একযুগ পরে আরও একবার বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে ভাসছে স্প্যানিশরা। ছেলেদের হাত ধরে যে উৎসবে মেতেছিল স্পেন এবার নারীরাও এনে দিলেন সেই উপলক্ষ্য। ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্ব সেরার শিরোপা জিতেছে স্পেন নারী ফুটবল দল।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে উৎসব পুরো স্পেনজুড়ে। জয়ের পর রাস্তায় নেমে আসেন সমর্থকরা। অপেক্ষা ছিল প্রিয় দলকে স্বাগত জানানোর। অবশেষে আসে সেই মুহুর্ত।
অস্ট্রেলিয়া থেকে মাদ্রিদে আসার পর আতশবাজিসহ নানা ধরনের রঙ ছিটিয়ে বরণ করে নেয়া হয় ফুটবলারদের। ফুটবলের নতুন কুইনদের দেখতে রাস্তার পাশে অপেক্ষায় ছিলেন ভক্তরা। এরপর খোলা বাসে করে বিশ্বকাপজয়ীদের নেয়া হয় সংবর্ধনার জন্য নির্ধারিত স্থানে।
এক এক করে স্টেজে আসেন ফুটবলাররা। এরপর হেসে গেয়ে লাখো সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে উদযাপন করা হয় বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ। এ সময় দর্শকদের সঙ্গে বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতি প্রকাশ করেন তারা।
স্পেন নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক ইভানা আন্দ্রেস বলেন, ‘আমরা এই ট্রফি, মেডেল আপনাদের উৎসর্গ করলাম। এগুলো এখন আপনাদের। পুরো বিশ্বকাপে যে ভালোবাসা ও এনার্জি দিয়ে আমাদের সাপোর্ট করেছেন তার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।’
ফরোয়ার্ড সালমা পারালুয়েলো বলেন, ‘আমার কাছে এটি স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার। এত তাড়াতাড়ি বিশ্বকাপ জয় করা আমার কাছে অবিশ্বাস্য। আমি সত্যি অনেক উপভোগ করেছি। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং আপনাদের সবার সঙ্গে এটি উদযাপন করতে চাই।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নারী ফুটবলারদের বরণ করতে এসে আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন ভক্তরাও। স্প্যানিশরা বলছেন, ‘এটা অসাধারণ অনুভূতি। এর আগে ছেলেরাও বিশ্বকাপ জিতেছে। কিন্তু এবার মেয়েরা জয় করায় বেশি ভালো লাগছে। এই উদযাপন মিস করতে চাইনি। পুরো বিশ্বকাপের মতো ফাইনাল ম্যাচেও তারা সেরাটা খেলেছে। তারা এমন উদযাপনই ডিজার্ভ করে।’
প্রসঙ্গত, শুধু স্পেনেই ৫৬ লাখ মানুষ টিভিতে নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখেছেন। যার মধ্যে ৫৬ শতাংশ ছিল পুরুষ দর্শক।