এখনও ক্লাব পানি সার্জিও রামোস। ইউরোপিয়ান ফুটবলের দলবদলের সময়ও শেষ হয়ে আসছে। পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর থেকেই নতুন ক্লাবের সন্ধানে আছেন স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার। বেসিকতাসের সঙ্গে কথা চললেও বাতিল হয়ে গেছে সে সম্ভাবনাও।
আধুনিক ফুটবলে ডিফেন্ডার হয়েও যে তারকা খ্যাতি পাওয়া যায় সেটি সার্জিও রামোস প্রমাণ করেছেন রিয়াল মাদ্রিদে থাকতেই। ক্লাব ইতিহাসে জেতা যায় এমন সব শিরোপাই আছে এই ডিফেন্ডারের দখলে। রক্ষণভাগের সেনা হিসেবে ব্লকিং, ট্যাকলিং তার সহজাত। তবে পুরো দুনিয়ার কাছে তার খ্যাতি মূলত গোল করার কারণে। ডিফেন্স করতে করতে যখন প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডদের আক্ষেপে পোড়ান, তখনই আচমকা ওপরে উঠে হেডে কিংবা কিকে গোল করা তার নেশা।
ডিফেন্ডার হয়েও রিয়ালের জার্সিতে ৪৬৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে রামোসের গোল সংখ্যা ৭২টি। পিএসজিতেও দুই মৌসুমে করেছেন ৪টি গোল। আর জাতীয় দলের হয়ে ২৩ বার জালের দেখা পেয়েছেন এই ডিফেন্ডার। কার্ড খাওয়াতেও জুড়ি নেই রামোসের। ক্যারিয়ারের প্রচুর হলুদ আর লাল কার্ড খেয়েছেন তিনি।
কিন্তু ক্যারিয়ারের এই সায়াহ্নে এসে কিছুটা বিপাকে সার্জিও রামোস। পিএসজির সঙ্গে চুক্তি ছিল এ বছর পর্যন্তই। চেয়েছিলেন আরও একটি মৌসুম থেকে যাবেন ফ্রান্সেই। কিন্তু ৩৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডারের সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধার ইচ্ছা নেই প্যারিসিয়ানদের। মূলত লুই এনরিকে দায়িত্ব নেয়ার পরেই বোঝা গিয়েছিল ভবিষ্যৎ অন্ধকার রামোসের। এর আগে বার্সেলোনার এনরিকে স্পেন জাতীয় দল গিয়ে বাদ দিয়েছিলেন রামোসকে। রিয়াল-বার্সার সেই পুরোনো দ্বন্দ্বই হয়তো পিএসজিতে এসেও দেখালেন লুই এনরিকে।
ফ্রান্স খালি হাতে ফেরালেও অপশন ছিল বেশ কয়েকটি। কিন্তু ইন্টার মায়ামি বা সেভিয়ার পথে হাঁটেননি রামোস। অপেক্ষা ছিল ভালো কোনো প্রস্তাবের। সেটিও প্রায় হয়েই গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে বাঁধ সাধলো টাকার অঙ্ক। তুরস্কের ক্লাব বেসিকতাসের ইচ্ছে ছিল রামোসকে নেয়ার। সে অনুযায়ী আলোচনাও করে তারা। কিন্তু রামোসের এজেন্টের দাবিকৃত ১৫ মিলিয়ন ইউরো দিতে রাজি নয় ক্লাবটি। তাই আপাতত আলোচনা বন্ধ বেসিকতাসের পক্ষ থেকে।
৩৭ বছর বয়সী রামোসের জন্য ইউরোপিয়ান প্রজেক্ট এখন আর সম্ভব না বলেই মনে করেন ফুটবল বিশ্লেষকরা। সেক্ষেত্রে সৌদি আরবের কোনো ক্লাবেই যেতে হতে পারে তাকে। সেক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন ইউরোও হয়তো পেয়ে যাবেন তিনি। তাহলে ট্রান্সফার উইন্ডো নিয়েও চিন্তা করতে হবে না রামোসকে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর ইউরোপিয়ান দরজা বন্ধ হলেও সৌদি প্রো লিগের দরজা খোলা থাকবে ২০ তারিখ পর্যন্ত।