Homeঅর্থনীতি৬ মাসে জাহাজ কেটে রেকর্ড বাংলাদেশের!

৬ মাসে জাহাজ কেটে রেকর্ড বাংলাদেশের!

পুরাতন জাহাজ আমদানির সুযোগ পেয়েই ভারত, পাকিস্তান এবং চীনকে টেক্কা দিয়ে মাত্র ৬ মাসে ৯০টির বেশি জাহাজ কেটে রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। এখনও চট্টগ্রাম ইয়ার্ডগুলোতে আরও ৪০টি জাহাজ কাটা চলছে। এ সময় অন্য দেশগুলো কাটতে পেরেছে ১১০টি জাহাজ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে বিভিন্ন দেশ ২০০টি পুরাতন জাহাজ স্ক্র্যাপ হিসাবে কাটার সুযোগ নিয়েছে। এর মধ্যে একক দেশ হিসাবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা কিনেছেন ৯০টি জাহাজ। রেকর্ড পরিমাণ জাহাজ কাটার পর গত দেড় মাসে আরও ৩৪টি পুরাতন জাহাজ আমদানি করেছে এই সেক্টরের ব্যবসায়ীরা। আর এসব জাহাজের মাধ্যমে দেশের রি রোলিং মিলে রড তৈরির জন্য সাত লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন লোহার যোগান দিয়েছে। সংকটের মুখে ডলার বাঁচাতে গত বছরের আগস্ট মাস থেকে পুরাতন জাহাজ কেনার ক্ষেত্রে এলসি খোলা বন্ধ করে দেয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।

চট্টগ্রাম পিএইচপি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম জানান, শিপ ব্রেকিং যদি থাকে তাহলে রডের দামটি স্থিতিশীল থাকবে। গত বছর অনেক কম পুরাতন জাহাজ আনা হয় তাই রডের দাম টন প্রতি এক লাখ টাকা ক্রস করে। এখন যেহেতু আবার শিপ আসা শুরু হয়েছে তাই রডের দাম ৯০ হাজারের নিচে নেমেছে বলে জানান শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের ওই ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তবে রহস্যজনকভাবে চলতি বছর চীন পুরাতন জাহাজ কাটা একেবারেই বন্ধ রেখেছে। আর পাকিস্তান জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত মাত্র ৬টি জাহাজ কাটলেও এরপর আর জাহাজ কিনতে পারেনি। একইভাবে ভারত ৬ মাসে ৬১টি, তুরস্ক ১১টি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলো ৩২টি জাহাজ কেটেছে। শুধুমাত্র রি রোলিং মিলে স্ক্র্যাপের যোগান স্বাভাবিক রাখতে নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি মার্জিনে এলসি খুলতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ তাহেরের।

তিনি বলেন, বড় জাহাজগুলো কম আসছে। যেহেতু মানুষের মারজিনটা একটু বেশি। ডলার সংকটও রয়েছে। এছাড়া পুরাতন জাহাজ কেটে ২০ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন স্ক্র্যাপের যোগান দিচ্ছে।

দেশে রডসহ লৌহজাত নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদনে বছরে প্রায় ৭০ লাখ মেট্রিক টন স্ক্র্যাপ লোহার চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড পুরাতন জাহাজ কেটে ২০ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন স্ক্র্যাপের যোগান দেয়।

সর্বশেষ খবর