উদীয়মান অর্থনীতির পাঁচ দেশের জোট ব্রিকস-এ বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তি নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যেই সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছে সরকার। সংস্থাটির স্বাগতিক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে জোহানেসবার্গ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বাস্তবতায় বহুদিন পর এ বছর সরাসরি ব্রিকস সম্মেলনের আসর বসছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে। চলমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় এবারের ব্রিকস সম্মেলনের মূল আকর্ষণ নতুন সদস্য দেশের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা।
আফ্রিকা মহাদেশের প্রান্তসীমার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় বসছে এবারের ব্রিকস সম্মেলন। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কৌশলগত এই জোটটির কর্মকাণ্ডের দিকেই এখন তাকিয়ে আছে বিশ্ব, সতর্ক দৃষ্টি বিশ্বনেতাদেরও।
বিশ্ব রাজনীতিতে যখন জটিল সমীকরণ আর নব্য মেরুকরণের সময় চলছে, তখন তিন দিনের এই সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে হাইভোল্টেজ প্ল্যাটফর্মে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। আর ব্রিকস সম্মেলন উপলক্ষে জোহানেসবার্গের স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দেশটির কর্তৃপক্ষ। মূল সড়কগুলোতে ঝুলছে ব্রিকস এর প্রচারণা সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন। সঙ্গে সদস্যদেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের ছবিও।
সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে এসে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রিকস এর সদস্যপদ প্রাপ্তি এবং সদস্যদেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুতে বৈঠক করার কথা রয়েছে সরকার প্রধানের। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী চীন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ব্রিকস জোটের সম্প্রসারণ হবে কিনা, বা ব্রিকস কারেন্সি তথা ভিন্ন মুদ্রার প্রচলন কবে ঘটতে যাচ্ছে এমন প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুটা সময়।