বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের এক নেতা পাশের দেশের সাংবাদিককে দুবার ইলিশ মাছ পাঠিয়েছেন। কিন্তু সবাইকে তো আর ইলিশ মাছ দিয়ে কেনা যাবে না।
রোববার (২০ আগস্ট) নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ তাঁতীদলের মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন,
গোটা বিশ্ব থেকে আলাদা হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। দুই একটা দেশ বাদে। আওয়ামী লীগের এক নেতা পাশের দেশের সাংবাদিককে দুবার ইলিশ মাছ পাঠিয়েছেন। তারা হয়ত পক্ষে কথা বলবে। কিন্তু সবাইকে তো আর ইলিশ মাছ দিয়ে কেনা যাবে না।
রিজভী বলেন, ‘গতকাল পুলিশের উচ্চপর্যায়ের একটি মিটিং হয়েছে। সেখানে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য শুনে পাথর্ক্য করা যায় না যে, উনি কি পুলিশ নাকি শাহবাগ বা কোনো থানা আওয়ামী লীগের নেতা।’
পুলিশের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, পুলিশ রাষ্ট্রের বাহিনী। তারা জনগণের টাকায় বেতন পায়। কিন্তু এখন সরকারের সংগঠনের মতো কাজ করে। তারা যুবলীগ-ছাত্রলীগকে উস্কে দেয়, যেনো বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।
তিনি বলেন,
প্রায় প্রতিদিনই আমাদের প্রতিবাদ সভা বা মানববন্ধন করতে হয়। আমাদের কথা বলার জন্য অনুমতি নিতে হয়, সভা সমাবেশের জন্য অনুমতি নিতে হয় পুলিশের কাছ থেকে। সারা দেশে যেখানে ইচ্ছা সেখানেই ১৫ আগস্টের প্রোগ্রাম করা হয়, খিচুড়ি খাওয়ানো হয়, সেখানে অনুমতি লাগে না।
‘জুয়াড়িরা আজকে কারাগারে নেই। কেন বিচার হয় না আবরার হত্যার’- সেই প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘গতকাল তানভীর আহমেদ রবিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করেছে সে। এতো মেধাবী একজন ছাত্রকে গ্রেফতার করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে আমরা জানি না। পুলিশ এমনভাবে এসেছে যেন কোনো বিশাল বড় আসামিকে গ্রেফতার করতে এসেছে।’
তিনি বলেন, কাউকে যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করে তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদালতে হাজির করতে হয়, কিন্তু কোনো আইনই যেন মানে না এই সরকার। শেখ হাসিনা মনে করে এটা তাদের দেশ, এই দেশে বিএনপি কেনো সমাবেশ করে, সভা করে। তারা কোনোভাবেই এটা মেনে নিতে পারে না।