পিএসজির সঙ্গে গত কয়েক মাস সম্পকর্টা ভালো যায়নি কিলিয়ান এমবাপ্পের। সম্পর্কে তিক্ততা দেখা দিলে দল থেকে আলাদা হয়ে একা অনুশীলন শুরু করেন তিনি। এরইমধ্যে ক্লাব ছেড়েছেন নেইমার জুনিয়র। ব্রাজিলিয়ান তারকা পাড়ি জমিয়েছেন আল হিলালে। এরইমধ্যে এমবাপ্পেও দলে যোগ দিয়েছেন, অনুশীলন করেছেন সতীর্থদের সঙ্গে। শনিবার (১৯ আগস্ট) তুলজের বিপক্ষে খেলতে পারেন তিনি। এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, নেইমারকে তাড়াতেই কি ক্লাবের সঙ্গে ঝামেলা বাধিয়েছিলেন ফরাসি তারকা?
সম্পর্কের টানাপোড়েনের রেশ ঝেরে এমবাপ্পে পিএসজির আঙিনায় ফিরেছেন। এখন আর দুপক্ষের মাঝে কোনো ঝামেলাও নাকি নেই। পিএসজি কোচ লুইস এনরিকেও বলছেন, এমবাপ্পের মতিগতি এখন অনেক ভালো। স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘এমবাপ্পে এখন পারফেক্ট, অন্তত অনুশীলনে ওকে যেমন দেখেছি, তারপর তো সেটা সঠিকই। ওর অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষা আছে। মনের অবস্থাও ভালো। ওর মতো একজন বিশ্বমানের প্লেয়ার পেয়ে আমি অনেক খুশি।’
২০২৪ সালে প্যারিসিয়ানদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হবে কিলিয়ান এমবাপ্পের। ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাওয়ার আগে ক্লাবের চাওয়া ছিলো চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো। সেটা নিয়ে এমবাপ্পে বেঁকে বসাতেই যত গণ্ডগোল। তবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি হুট করেই শীতল হয়ে গেছে নেইমার পিএসজি ছেড়ে আল হিলালে যোগ দেয়ার পর।
তাই প্রশ্ন উঠেছে তবে কি নেইমারকে তাড়ানোর জন্যই এত নাটক ফ্রেঞ্চম্যানের? এ কথা অবশ্য উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। প্যারিসে নেইমার এমবাপ্পের সম্পর্ক যে মোটেও ভালো ছিলো না, তা সবারই জানা। সম্পর্ক ভালো ছিল না মেসির সঙ্গেও। মাঠ এবং মাঠের বাইরে এই বিষয়টি নিয়ে প্রত্যক্ষ বিবাদেও জড়িয়েছেন তারা।
ফরোয়ার্ড লাইনে মেসি নেইমারে শূন্যতা ঘোঁচাতে বার্সেলোনা থেকে ওসমান দেম্বেলেকে কিনেছে পিএসজি। তুলুজের বিপক্ষে ম্যাচে নেইমারের রেখে যাওয়া ১০ নম্বর জার্সিতে অভিষেক হওয়ার কথা রয়েছে তার। স্বদেশিকে পেয়ে বেজায় খুশি এমবাপ্পে।