মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী প্রতিনিধি।।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, সাবেক গণপরিষদ সদস্য, রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী হেদায়েত হোসেনের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বরণের মাত্র তিনদিন পর বঙ্গবন্ধুর এই ঘনিষ্ট সহযোগীকে দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
কাজী হেদায়েত হোসেনের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার সকালে রাজবাড়ী পৌর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে নানা কর্মসূচী পালন করা হয়।মরহুমের কবর জিয়ারত শেষে জেলা শহরের প্রধান সড়কে শোক র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
পরে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও কাজী হেদায়েত হোসেনের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়। এরপর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডঃ উজীর আলী শেখের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন,কাজী হেদায়েত হোসেনের বড় ছেলে এবং জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, মেঝো ছেলে ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সালমা চৌধুরী রুমা,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শফিকুল মোর্শেদ আরুজ,সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ফকির আব্দুর জব্বার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপুসহ অন্যান্য নেতারা। পরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ সোহেল রানা টিপু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাজবাড়ীতে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বশূন্য করতেই কাজী হেদায়েত হোসেন কে দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।কিন্তু তারা জানতোনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিকেরা কোন কিছুতেই ভয় পায় না।পরে মরহুমের দুই সুযোগ্য সন্তান রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগ কে সুসংগঠিত করেছেন।সাধারণ মানুষের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে নিরালস কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে অপশক্তি ইতিমধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছে সেদিকে লক্ষ্য থাকার অনুরোধ করেন।