Homeসর্বশেষ সংবাদকবে শেষ হবে মান্নান গাছির খেয়া ঘাটের ব্রিজের নির্মাণ কাজ

কবে শেষ হবে মান্নান গাছির খেয়া ঘাটের ব্রিজের নির্মাণ কাজ

মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী।।
প্রায় ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতের সীমাহীন ভোগান্তি লাঘব করতে ২০১৯ সালে ৩রা সেপ্টেম্বর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের মান্নান গাছির খেয়া ঘাট এলাকায় ব্রিজের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়।তবে দীর্ঘ ৫ বছর পেড়িয়ে গেলেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ।
সেতুর নির্মাণ কাজ নিয়ে একের পর এক নানা জটিলতা তৈরি হওয়ায় একদিকে নির্মাণ ব্যয় যেমন বেড়েছে, অন্যদিকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ক্ষোভ দেখা দিয়েছে নদীর দুই পারের বাসিন্দাদের মধ্যে।
তবে পদ্মা নদীর ক্যানালের উপর ব্রীজটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের সাথে উজানচর ইউনিয়নের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হবে। বর্তমানে খেয়া নৌকাই ওই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গোয়ালন্দ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৮৪ লাখ ৯ হাজার ১২৫ টাকা।চুক্তি অনুযায়ী বরিশালের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালে কাজ শুরু করে। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ২৬ শে জুলাই।দ্বিতীয় দফার পুনরায় সময় বাড়িয়ে ৪ জুন ২০২৩ ইং তারিখে শেষ হবার কথা থাকলেও দীর্ঘদিনেও ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মান্নান গাছির খেয়া ঘাট দিয়ে ওই এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে। খেয়া ঘাটের দুই পাশে একাধিক  হাট-বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষ যেমন স্বাস্থ্য সেবার জন্য নিয়মিত ফরিদপুরে যাতায়াত করে থাকে, তেমনি ওপারের মানুষও লেখাপড়া-বাজার ঘাটসহ নানা প্রয়োজনে গোয়ালন্দে এসে থাকে। এ জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দুই অঞ্চলের মানুষ সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছিল।
উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা বলেন, ব্রিজটির নির্মাণ কাজ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয়। পরে আবার হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় কাজ৷ আমি ইঞ্জিনিয়ারসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগিদ দিলেও  কোনো কাজ হচ্ছে না।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকৌশলী বজলুর রহমান খান বলেন, বিল সংক্রান্ত ঝামেলার জন্য কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য কে বিষয়টি জানিয়েছি, আশা করছি বিল সংক্রান্ত ঝামেলা খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। আরও বলেন, আমাদের কাজে কোন গাফিলতি নেই, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজে কোন অনিয়ম এবং কাজ না করলে আমরা সেই ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। আশা করি দ্রুত কাজ শুরু হবে এবং মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।

সর্বশেষ খবর