ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ তারকাদের দলে ভিড়িয়ে চাঁদের হাট বসিয়েছে সৌদি আরব। তাই সৌদি পেশাদার লিগের নতুন শুরু হওয়া মৌসুমে চোখ রাখতে হচ্ছে দলগুলোর ওপর। ডিসেম্বরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর রীতিমতো বিপ্লব ঘটে গেছে লিগটিতে। এবার আরও বড় স্বপ্ন দেখছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির ফুটবল।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালোদো দিয়ে শুরু। এরপর করিম বেনজেমা, রবার্তো ফিরমিনো, রিয়াদ মাহরেজ, এনগোলো কান্তে, জর্ডান হেন্ডারসন, সার্জ মিলানকোভিচ-সাভিচ; সবশেষ নেইমার। কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে বিশ্বসেরা ফুটবলারদের নিজেদের লিগে টানছে সৌদি আরব।
এবার সৌদি আরবের গণ্ডি ছাড়িয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলেও নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার কথা ভাবছে দেশটি। ইতালির সংবাদমাধ্যম কোরিয়েরে দেল্লো স্পোর্ত দিয়েছে নতুন খবর। সৌদি আরবের ক্লাবগুলো যেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশ নিতে পারে, সে জন্য উয়েফাকে প্রস্তাব দেবে তারা। যদিও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইউরোপের বাইরের কোনো দলের অংশ নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই, তবুও প্রতি মৌসুমে অন্তত একটি দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলাটা নিশ্চিত করতে চায় তারা।
সৌদি লিগের ক্লাবগুলো অবশ্য এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) অধীনে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলে থাকে। এছাড়াও ইউনিয়ন অব আরব ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ইউএএফএ) অধীনে আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়ন্স কাপেও অংশ নিয়ে থাকে। দিনকয়েক আগে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নৈপুণ্যে প্রথমবারের মতো এই শিরোপা ঘরে তোলে আল নাসর।
কোরিয়েরে দেল্লো স্পোর্ত জানিয়েছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই উয়েফার কাছে ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সৌদি ক্লাবের অংশগ্রহণের অনুমতি চাইবেন দেশটির ফুটবলের কর্তাব্যক্তিরা। “ওয়াইল্ড কার্ডের মাধ্যমে সৌদি ক্লাবের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায় তারা। ২০২৪-২৫ মৌসুম থেকেই এর সূচনা চায় সৌদি আরব।
২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে বদলে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফরম্যাট। নতুনভাবে ‘সুইস সিস্টেম’ -এ ৩২ দলের জায়গায় অংশ নেবে ৩৬ দল। লিগ পদ্ধতিতে ৮টি করে ম্যাচ খেলবে প্রতিটি দল। এরপর শীর্ষ ৮ দল সরাসরি জায়গা করে নেবে শেষ ষোলোয়। আর ৯-২৮তম দলগুলো দুই লেগের প্লে-অফ খেলবে। সেখান থেকেই জায়গা করে নেবে বাকি ৮ দল।
উয়েফার কাছে সৌদি প্রো লিগজয়ী দলকে ২০২৪-২৫ মৌসুমে ওয়াইল্ড কার্ডের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে দেওয়ার অনুমতি চাইবে সৌদি ফুটবল কর্তৃপক্ষ। এই টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পেলে আল-হিলাল, আল নাসর, আল ইত্তিহাদ ও আল আহলির মতো ক্লাবগুলো আরও খ্যাতি কুড়াবে বলে তাদের বিশ্বাস। এই চারটি ক্লাবের মালিকানাতেই আছে সৌদি সরকারের মালিকানাধীন পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ)।