চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবশেষ তিন মৌসুমে দুইবার ফাইনাল ও একবার সেমিফাইনালে খেলেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এর মধ্যে শেষবার শিরোপাও উঁচিয়ে ধরেছে পেপ গার্দিওলার দল। এমন জাদুকরী নৈপুণ্য দেখানোর ফলও পাচ্ছে তারা। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে শক্তিশালী ক্লাব হিসেবে ম্যানসিটির অবস্থান আরও সুসংহত হয়েছে। ২০২২-২৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা সিটিজেনরা উয়েফার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে গেছে।
উয়েফার হালনাগাদকৃত ক্লাব র্যাঙ্কিংয়ে ইউরোপের ১ নম্বর ক্লাব এখন ম্যানচেস্টার সিটি। সিটিজেনদের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠল তারা, ১২ বছরের মধ্যে প্রথম ইংলিশ ক্লাব হিসেবেও।
ইউরোপের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ক্লাবগুলোর কোইফিসিয়েন্ট র্যাঙ্কিং করে থাকে। এখানে বিবেচনায় নেওয়া হয় সবশেষ পাঁচ মৌসুম, আর হালনাগাদ করা হয় প্রতিটি রাউন্ডের খেলা শেষ হওয়ার পর। যেহেতু মৌসুম চলাকালীন প্রতি রাউন্ডের পর র্যাঙ্কিং ওঠানামা করে,তাই বিবেচনায় নেওয়া হয় মৌসুম শেষের র্যাঙ্কিংকে। এবারই প্রথম মৌসুম শেষের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে সিটি।
ইংলিশ ক্লাবগুলোর মধ্যে দুই মৌসুমের মাঝের সময়টাতে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ২০১১ সালে এই কীর্তি গড়েছিল তারা। গত পাঁচ মৌসুমে সিটির পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১২০, যার মধ্যে ২২-২৩ মৌসুমে ৩৩, ২১-২২ মৌসুমে ২৭ ও ২০২০-২১ মৌসুমে রানার্সআপ হওয়ার পথে ৩৫ পয়েন্ট অর্জন করেছিল সিটি।
পয়েন্ট গণনা করা হয় কোন রাউন্ডে কতটি জয় ও ড্র, পরবর্তী রাউন্ডে উত্তরণ বোনাস, পেনাল্টি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জয়সহ বেশ কয়েকটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে। পেনাল্টি শ্যুটআউট, হোম-অ্যাওয়ে, গোল ব্যবধানের জয়ে এক্ষেত্রে কম পয়েন্ট পেয়ে থাকে। যে কারণেই সিটি ২০২০-২১ মৌসুমে রানার্সআপ হয়েও সবশেষ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেয়েও বেশি পয়েন্ট পেয়েছিল।
সিটির পরের দুইটি স্থানে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। সবশেষ তিন মৌসুমে একবার ফাইনাল না খেলার পরেও ১১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে। অন্যদিকে ২০২১-২২ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হওয়া রিয়াল মাদ্রিদ ১০২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে।
তবে শীর্ষস্থানীয় দলগুলোর মধ্যে বড় পতন হয়েছে বার্সেলোনার। মাত্র ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৪ নম্বরে আছে সবশেষ দুই মৌসুমে গ্রুপ পর্ব পার হতে ব্যর্থ হয়ে ইউরোপা লিগে নেমে যাওয়া বার্সেলোনা।