লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা ভি আই পি পাড়ায় এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি শফিকুল ইসলাম নামের প্রভাবশালী এক বাস কাউন্টার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় প্রায় ৫ লক্ষ টাকায় আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করছেন ওই উপজেলার টংভাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন। এজন্য তিনি বাদী পক্ষের কাজ থেকে অগ্রীম ১ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে জানান অনেকেই।
তথ্যানুসন্ধ্যানে জানা যায় গতকাল দুপুরে উপজেলার ভিআইপি পাড়া এলাকায় অভিযুক্ত সফিকুলের বাড়িতে এই ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটেছে।
পরে উভয় পক্ষকে ডেকে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করার প্রস্তাব দেন টংভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন। অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
এলাকাবাসী ও প্রতিবেশীরা জানান, শফিকুল ও শিশুর বাড়ি পাশাপাশি। তারা একে অপরের প্রতিবেশী। শিশুটি শফিকুলকে বড় আব্বু বলে ডাকতো। শফিকুলের স্ত্রী বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে সে প্রায় দিনে শিশুটিকে চকলেট দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুটিকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষন করে।
শফিকুলের স্ত্রী রংপুরে থাকায় গতকাল মঙ্গলবার আবারো সফিকুল ওই শিশুকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে। এমন সময় বিষয়টি টের পেয়ে শফিকুলকে হাতে নাতে আটক করে স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি টংভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হোসেনকে জানালে তিনি উভয় পক্ষকে তার ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করার প্রস্তাব দেন এবং তিনি নিজেই অভিযুক্ত শফিকুলের কাজ থেকে ১লক্ষ টাকা নেন।
ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে আইনের আওতায় না দিয়ে টাকার বিনিময়ে মিমাংসা করার বিষয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সফিকুলকে ধর্ষণ করা অবস্থায় আটক করা হয়। পরে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময় বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করা হয় বিষয়টি দু:খজনক।
শিশুটির নিকটতম এক আত্বীয় বলেন, সফিকুলকে হাতে নাতে আটক করা হয়। পরে বিষয়টি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসা করা হয়। অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের কাছে ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি প্রথমে নিরব থাকলেও পরে বলেন, স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বসে বিষয়টি ফয়সালা করে হয়েছে।
টংভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি। সেই সাথে তিনি ১ লক্ষ টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহা আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এমনকি এ ধরনের কোন অভিযোগও এখন পযন্ত পাইনি।