‘হিংসাত্মক বিক্ষোভের’ অভিযোগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৯টি মামলায় জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ইসলামাবাদের স্থানীয় আদালত।
পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি) ইমরানের তিনটি জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। এছাড়া, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সোহেল ইমরান খানের গ্রেফতার-পূর্ব জামিনের ছয়টি আবেদন খারিজ করেছেন।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে খান্না এবং বারাকাহু থানায় এসব মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে ইমরান খানের জামিন মঞ্জুর করা হয়নি বলে জানিয়েছেন আদালত। এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
বিচারক মোহাম্মদ সোহেল রায় ঘোষণা করে বলেন, ‘অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে অপসারিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী (ইমরান খান) মামলা সংক্রান্ত তদন্তে সহায়তা করলে সুবিধা হবে।’
যদিও, তোশাখানা (পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ভান্ডার) উপহারের জাল রশিদ সংক্রান্ত একটি মামলায় ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির অন্তর্বর্তীকালীন জামিন ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন আদালত।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, গত ৯ মে দুর্নীতির মামলায় পিটিআই প্রধানকে গ্রেফতার করা হলে তার দলের সমর্থকরা প্রতিরক্ষা ও সামরিক স্থাপনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে সহিংস বিক্ষোভের সূত্রপাত করে।
ওই দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে পিটিআইয়ের শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং সহিংস বিক্ষোভের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছিল ইমরান খানকে।
এর মধ্যেই, তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ এবং এক লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছে।