বিচারব্যবস্থা সংস্কারের বির্তকিত বিল পাসের পর জনপ্রিয়তা কমেছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর। এমন আইনের কারণে নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করেন বেশিরভাগ ইসরাইলি। এমনকি প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন নাগরিক ইসরাইল ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন বলেও তথ্য উঠে এসেছে একটি জরিপে।
বিচারব্যবস্থা সংস্কারের বির্তকিত বিল ইস্যুতে গেল ৮ মাসের বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত ইসরাইল। শুরু থেকেই নেতানিয়াহু সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাধারণ মানুষ। যতই দিন গড়িয়েছে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। বিচারব্যবস্থা সংস্কারের ইস্যু থেকে তা সরকারবিরোধী আন্দোলনেও রূপ নেয়।
তবে সাধারণ মানুষের কথা কানে না নিয়ে সম্প্রতি বির্তকিত ওই বিল পাস করে ইসরাইলের কট্টর-ডানপন্থি সরকার।
বিল পাসের পরও বিক্ষোভ অব্যাহত আছে রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কারণে তলানিতে ঠেকেছে নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপ বলছে, নতুন এই বিল পাসের কারণে নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করেন বেশিরভাগ ইসরাইলি। এমনকি প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন নাগরিক ইসরাইল ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন বলেও জরিপে উঠে এসেছে।
জরিপে অংশ নেয়াদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিতর্কিত বিল ইস্যুতে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামেন সাধারণ ইসরাইলিরা। তারা মনে করছেন, বিচার বিভাগে সংস্কার আনতে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে ইসরাইলের গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে। কারণ, বিদ্যমান আইনে পার্লামেন্টের যেকোনো সিদ্ধান্ত চাইলে সুপ্রিম কোর্ট বদলে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন।
ইসরাইলের অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েক মাস ধরেই নাগরিকদের মধ্যে ইসরাইল ছাড়ার প্রবণতা বেড়েছে।
তারা বলছেন,
বিচার বিভাগের সংস্কারে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া নিয়ে অসন্তোষের কারণেই অনেকের এমন মানসিকতা তৈরি হয়েছে।
নাগরিকদের ইসরাইল ছাড়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়াকে নেতানিয়াহু সরকারের জন্য অশনিসংকেত হিসেবে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।