“নড়াইলে হরিলুট চলছে জেলা পরিষদের শতবর্ষী কোটি টাকার গাছ” শিরোনামে বাংলাদর্পনে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে নড়াইল জেলা পরিষদ। গত সোমবার বাংলাদর্পনের নড়াইল প্রতিনিধির পাঠানো এই সংবাদটি প্রকাশিত হলে নড়াইল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, গাছ হরিলুটের সাথে নড়াইল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. লুৎফর রহমানের নূন্যতম সংশ্লিষ্টতা নেই। সংবাদে উল্লেখিত জনাব নাসিম মোল্যা ইতোমধ্যে তার ফেসবুক আইডি থেকে ঘোষণা দিয়েছেন সংবাদে প্রকাশিত বক্তব্যটি তার নয়। প্রকৃতপক্ষে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গাছ কাটা হচ্ছে বিধায় এক্ষেত্রে কাজের দ্বৈততা পরিহার করে নাড়াইলের উন্নয়নের স্বার্থে জেলা পরিষদ তাদের সাথে সমন্বয় করে কাজটি সম্পাদন করছে। এখানে কারোর যোগসাজসে গাছ উধাও করার কোন সুযোগ নেই। এ জন্য প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়। পাশাপাশি সংবাদ প্রকাশে সকলের নিকট দায়িত্বশীলতার বিষয়টি প্রত্যাশা করেন তারা।
এ বিষয়ে প্রতিনিধীর বক্তব্যঃ
মালিবাগ আর্মি ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার ফরহাদ এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমরা কাজের সুবিধার্থে জেলা পরিষদের সাথে সম্বন্বয় করে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশে জ্বালানি কাঠের বিনিময়ে কাঠুরেরা গাছ কাটবে। জেলা পরিষদের তত্বাবধানে গাছের মূল অংশ (লগ কাঠ) জেলা পরিষদে জমা হবে। আর রাস্তা থেকে গাছের মূল অংশ (লগ কাঠ) জেলা পরিষদ বুঝে নিবে।
জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে গাছ কাটা হচ্ছে আমাদের যে গাছ দিচ্ছে আমরা সেগুলো এনেছি। জেলা পরিষদের পাশের ৩টি মেহগণি গাছ আনতে লোক পাঠিয়েছিলাম। একটি মাত্র লগ দিয়েছে তারা। তারা যা দিয়েছে আমার লোকজন তাই এনেছে।
সরেজমিনে গত ১১/০৮/২৩ তারিখে গিয়ে রাস্তা থেকে গাছের মূল অংশ (লগ কাঠ) বুঝে নেওয়ার জন্য জেলা পরিষদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া সদর থানায় গাছসহ নসিমন আটক করা হয়।
বাবু মোল্যা জানিয়েছেন, বিগত কয়েকদিন ধরে লোকজন রাস্তার গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। গাছগুলো জেলা পরিষদে যেতে দেখছি না। নাসিম বিল্লাহ্ জানিয়েছেন, কাঠের ব্যাপারি বাশার হরিলুট করতেছে। বড় বড় গাছগুলো জেলা পরিষদে আসে নাই।
গত ১৩/০৮/২৩ তারিখে এ বিষয়ে তথ্য আনতে জেলা পরিষদে গেলে জেলা পরিষদের গাছ তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত মোঃ মনিরুল ইসলাম মোট কতটি গাছ কাটা হয়েছে তথ্য দিতে পারেননি। তবে ১৪ টি মেহগণি, ১০ টি রেইনট্রি, ৪ টি আম ও ২টি বাবলা গাছের গুড়ি জেলা পরিষদে জমা হয়েছে।