আইনি মারপ্যাঁচে জর্জরিত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। এবার যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফল পাল্টে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার (১৪ আগস্ট) জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টি গ্র্যান্ড জুরি তাকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগপত্র জারি করেন। খবর বিবিসির।
জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টি গ্র্যান্ড জুরির জারি করা অভিযোগপত্রে ট্রাম্পসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ৪১টি ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরে চতুর্থবারের মতো ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হলেন ট্রাম্প। যদিও তিনি সব মামলাতেই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে পরাজয় মানতে অস্বীকার করেন ট্রাম্প।
শুধু তাই নয়, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বাইডেনের জয়ের সত্যায়ন প্রক্রিয়া ঠেকাতে ট্রাম্পের উসকানিতে মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায় তার সমর্থকেরা। এছাড়া নির্বাচনের ফল পাল্টে দিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে তদন্তের পর ১ আগস্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৪৫ পাতার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন স্পেশাল কাউন্সেল তথা বিশেষ আইনি পরামর্শক জ্যাক স্মিথ। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের পক্ষে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ট্রাম্প নির্বাচনের ফল উল্টে দেয়ার জন্য বেআইনি পথ বেছে নিয়েছিলেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করতে ষড়যন্ত্র, অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দেয়ার ষড়যন্ত্রসহ মোট চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
এরপর ৩ আগস্ট এই মামলার প্রথম শুনানি হয়। আদালতে শুনানি শুরুর পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো পড়ে শোনান বিচারক মোক্সিলা উপাধ্যায়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার কত বছরের সাজা হতে পারে তা-ও জানানো হয়। সেই সঙ্গে আগামী ২৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়।