আরও উত্তপ্ত হওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার দ্বন্দ্ব। এবার চীনের সংবেদনশীল উচ্চপ্রযুক্তি খাতে মার্কিন বিনিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন জো বাইডেন। বুধবার (৯ আগস্ট) চীনের সংবেদনশীল উচ্চপ্রযুক্তি শিল্পে নতুন মার্কিন বিনিয়োগের নিষেধাজ্ঞা জারির একটি নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন তিনি।
এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো, মার্কিন পুঁজি ও দক্ষতা যেন চীনের সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণে ব্যবহৃত না হয়। সেমিকন্ডাক্টরসহ অন্যান্য মাইক্রোইলেকট্রনিকস, কোয়ান্টাম কম্পিউটার এবং বেশ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাপ্লিকেশন বিকাশের চীনের প্রচেষ্টায় মার্কিন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং প্রাইভেট ইকুইটি সংস্থাগুলোর বিনিয়োগ রুখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্যই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান দেশটির প্রশাসনিক কর্মকর্তরা।
এক বিবৃতিতে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলেছে, ‘বাইডেন প্রশাসন আমেরিকাকে নিরাপদ রাখতে এবং সামরিক উদ্ভাবনের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির যথাযথ সুরক্ষার মাধ্যমে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এই নির্দেশটি আংশিকভাবে সন্দেহজনক পণ্যের ওপর আরোপ হবে বলে বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের দীর্ঘমেয়াদি উন্মুক্ত বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
আংশিকভাবে হোক বা না হোক, এই নির্দেশটি চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের সমীকরণকে আরও জটিল করে তুলেছে। এরই মধ্যে চীনে মূল প্রযুক্তি রফতানি নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যার প্রতিক্রিয়ায় সম্প্রতি চিপ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপাদান গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়াম রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে বেইজিং।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে হতাশা প্রকাশ করে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেছেন, ‘সর্বশেষ বিনিয়োগ বিধিনিষেধগুলো চীনা এবং আমেরিকান কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এর কারণে উভয় দেশের মধ্যকার স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসায়ীদের আস্থা কমবে।’
তিনি আরও বলেন, হোয়াইট হাউস দাবি করে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইছে না বা উভয় দেশকে আলাদা করতে চাইছে না। কিন্তু তাদের নেয়া পদক্ষেপের সঙ্গে কথার কোনো মিল নেই।