সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে ইরান। শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তিগত পরীক্ষা চলছে বলে দাবি করেছে দেশটি।
লোহিত সাগরে তিন হাজার মার্কিন সেনা পাঠানোর জেরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে। ওয়াশিংটন বলছে, নৌপথে বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজকে হয়রানি ও আটক বন্ধে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এতে করে আঞ্চলিক উত্তেজনা কমবে বলে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
অন্যদিকে, সেনা মোতায়েনের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইরান। এবার দুই দেশের মধ্যকার চলমান এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা অর্জনের দাবি করল তেহরান।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রংটার্স জানিয়েছে, শব্দের চেয়ে দ্রুত গতির সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ইরান। এটিকে দেশটির প্রতিরক্ষা খাতের ‘নতুন অধ্যায়’ আখ্যা দিয়ে তেহরান বলছে, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি দিক পরীক্ষা চলছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হলে শত্রুপক্ষের যেকোনো হামলার জবাব দিতে অল্প সময় ব্যয় হবে বলে দাবি ইরানের।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তেহরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েনের কারণে ইরানি জাহাজ আটকের আশঙ্কা দেখা দেয়ায় নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রের কথা সামনে আনা হয়েছে বলেও মনে করছেন তারা।
মার্কিন সেনারা ইরানের কোনো জাহাজ আটক করলে তার বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বিপ্লবী গার্ড বাহিনী।