প্রিন্সেস ডায়ানা ও তার প্রেমিক মিশরীয় সিনেমা প্রযোজক দোদি আল ফায়েদের ব্যবহৃত বিখ্যাত সেই ইয়টটি ডুবে গেছে। গত সপ্তাহে এক দুর্ঘটনার পর ফ্রান্সের উপকূলে ডুবে গেছে ৬৫ ফুট লম্ব বিলাসবহুল প্রমদতরীটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে এ খবর দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, ১৯৯৭ সালের মে মাসে মৃত্যুর আগে সাবেক ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়ানা ও তার বন্ধু দোদি আল ফায়েদ কুজো নামের ওই প্রমদতরীতে কয়েক সপ্তাহ সময় কাটিয়েছিলেন। ইয়টটি হলিউড তারকাদের অনেক প্রিয় ছিল। এছাড়া বিখ্যাত সব ব্যক্তিদের ইয়টটি বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত প্রমোদতরী হয়ে ওঠে।
খবরে বলা হয়েছে, বিখ্যাত সেই ইয়টটি গত সপ্তাহে দুর্ঘটনায় পড়ে ফ্রান্সের উপকূলে ডুবে গেছে। প্রতিবেদন মতে, গত ২৯ জুলাই ভূমধ্যসাগরের ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরার বিউলো-সার-মার উপকূলে একটি অজ্ঞাত বস্তুতে আঘাত লাগার পর ইয়টটি তলিয়ে যায়। এ সময় ইয়টে থাকা সাতজন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। ডুবে যাওয়ার পর এটি এখন সমুদ্রের ৭ হাজার ফুট নিচে চলে গেছে।
ফরাসি সামরিক বাহিনীর জেন্ডারমেরি ডেস আলপেস-মেরিটাইমসের একটি ফেসবুক পোস্ট অনুসারে, ইয়টটিতে থাকা যাত্রীরা গত ২৯ জুলাই স্থানীয় সময় সাড়ে ১২টার দিকে ফোন করে সহায়তা চেয়েছিল। এর এক ঘণ্টা পর উদ্ধারকারী নৌকা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ততক্ষণে ইয়টটির একটি অংশ ডুবে যায়।
এতে আরও বলা হয়েছে, ইয়টের কেবিনগুলো ততক্ষণে প্লাবিত হয়ে গেছে। শুধুমাত্র রান্নাঘর ও ডেকের ওপর থাকা কয়েকটি স্যুটকেস উদ্ধার করা গেছে।
আর্কিটেকচারাল ডাইজেস্ট’র তথ্য মতে, ইয়টটি ১৯৭২ সালে চালু হয়েছিল এবং এটির প্রথম মালিক জন ভন নিউম্যান এটাকে সাগরে ভাসিয়েছিল। এরপর এক পর্যায়ে এটার মালিক হন মিশরের বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আল ফায়েদের ছেলে দোদি আল ফায়েদ।
প্রিন্সেস ডায়ানা ও দোদি আল ফায়েদ ছাড়াও ক্লিন্ট ইস্টউড, টনি কার্টিস, ব্রুস উইলিস ও ব্রুক শিল্ডসসহ অন্যান্য বিখ্যাত ব্যক্তি কোনো না কোনো সময় এই প্রমোদতরীতে যাত্রী হিসেবে অবস্থান করেছিলেন।
প্রিন্সেস ডায়ানা ও দোদি আল ফায়েদের মৃত্যুর পর ১৯৯৯ সালে ইয়টটি অকেজো হয়ে পড়ে। কয়েক বছর পর ফায়েদের চাচাতো ভাই মুদি আল ফায়েদ এটি কিনে নেন এবং আবারও চালু করেন। পরে এটি সাইমন কিডস্টনের কাছে বিক্রি করা হয়।