মো: রবিউল ইসলাম খান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার হাটবাজার ইজারা নিয়ে খাজনা আদায় করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছে ইজারাদার মনিরুজ্জামান পাটোয়ারী। বাজার বুঝিয়ে না দেওয়ায় টোল উত্তোলন করতে না পেরে প্রচুর লোকসানের মুখে পড়বেন বলে জানায় ইজারাদার।
নিরুপায় হয়ে ইজারাদার মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী হাটবাজারের দখল বাজার বুঝে পেতে সহায়তা চেয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১০/৭/২০২৩ তারিখে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী হাটবাজারের দখল বুঝিয়ে দিয়ে টোল আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মেয়র, লক্ষ্মীপুর পৌরসভা কে নির্দেশনা প্রদান করেন।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ১৪৩০ সনের ১ বৈশাখ ( ১৪ এপ্রিল ২০২৩) থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত এক বছরের জন্য হাটবাজার ইজারা দেওয়ার জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্রে অংশগ্রহন করে তরকারি বাজার, ট্রাক ও মালবাহী গাড়ি, মোরগ বাজার, দুধ বাজার ও সুপারী বাজার সর্ব্বোচ্চ ইজারাদার নির্বাচিত হয় মনিরুজ্জামান ইজারার শর্ত অনুযায়ী ইজারা মূল্যের সাথে ভ্যাট, আয়কর ও জামানত বাবত লক্ষ্মীপুর এনআরবিসি ব্যাংক পে-অর্ডার মাধ্যমে ৭২ লাখ ৩৩ হাজার ৬ শত টাকা মেয়র বরাবর পরিশোধ করে ১২ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ পৌরসভার সাথে ইজারা চুক্তি হয়।
চুক্তিনামার পর দখলনামার সাথে টোল আদায়ের হারে তালিকা সরবরাহ করার কথা। ইজারা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলী পরিচালনার জন্য হাটবাজার ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর পৌরসভা একটি হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে। কমিটির সভাপতি মেয়র, জেলা প্রশাসকের একজন প্রতিনিধি, সকল নির্বাচিত কাউন্সিলর সদস্য সহ মোট ২৭ জন থাকবেন কমিটির সদস্য। এই কমিটি হাটবাজার তদারকি ও টোল আদায় সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ তদারকি করবে।
কিন্তু সাড়ে তিন মাস পার হয়ে গেলও ইজারাদারকে হাটবাজারের দখল বুঝিয়ে না দেওয়ায় টোল আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান ইজারাদার মনিরুজ্জামান পাটোয়ারী। পরবর্তীতে গত ২৬/৬/২০২৩ ইং হাটবাজারের দখল বুঝিয়ে পেতে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
এ ব্যাপারে ইজারা গ্রহীতা মনিরুজ্জামান পাটোয়ারী জানান ইজারাদার মনোনীত হওয়ায় পর ১২ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ পৌর মেয়রের সাথে ৫টি বাজারের আলাদা আলাদা কিছু শর্তসাপেক্ষে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী পৌরসভা আমাকে বাজার বুঝিয়ে দিবে এবং আমি চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে খাজনা নেওয়া কথা। কিন্তু অদ্যবধি বাজার দখল বুঝিয়ে না দেওয়ায় পাশাপাশি চুক্তি পত্রে বাজারের নাম স্থান, জমির পরিমান ও দাগ নাম্বার উল্লেখ না থাকায় খাজনা আদায় সম্ভব হচ্ছে না। বাজার বুঝে পেতে আমি জেলা প্রশাসকের সহযোগীতা কামনা করি।
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দিন জানান, ইজারাদারের সাথে লিখিত ভাবে ইজারা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই মোতাবেক সেই খাজনা আদায় করে যাচ্ছেন। বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি বিষয়টি সঠিক নয়।
মুরগী বাজারের দোকানঘর ছাড়া ইজারা অনুযায়ী সব স্থান থেকে খাজনা আদায় করে যাচ্ছে মনিরুজ্জামান ও তার লোকজন।
এ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া জানান, ইজারাদার মনিরুজ্জামানের সাথে পৌরসভার লিখিত চুক্তি হয়েছে। জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগের বিষয়টি জানা নেই। জেলা প্রশাসকের কোন নির্দেশনা/চিঠি আমরা পাইনি পেলে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।