অস্ট্রেলিয়া তো বটেই ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা বাঁহাতি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। বয়সের ভারে অবশ্য নিজের ধার হারিয়ে ফেলেছেন অনেকটাই। সবশেষ অ্যাশেজেও ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। আগামী বছর জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিডনিতে টেস্টে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন তিনি। তবে অনেকেই মনে করেন, অ্যাশেজেই টেস্ট ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটে গেছে তার।
জানুয়ারিতেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেবেন ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু মাঠ থেকে আদৌ বিদায় নেয়ার সুযোগটা তিনি পাবেন কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সমর্থকরা। ২০২৩ সালে মাত্র ২২.৮০ গড়ে রান করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। অ্যাশেজে দুটি অর্ধশতক হাঁকালেও পাননি সেঞ্চুরির দেখা। তাই ওয়ার্নারের শেষ দেখে ফেলা মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
ওয়ার্নার বাদ পড়লে তার জায়গা নেয়ার জন্য এই মুহূর্তে তিনজন প্রস্তুত আছেন বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটার ও ‘এ’ দলের কোচ অ্যাডাম ভোজেস। তারা হলেন – ক্যামেরন ব্যানক্রফট, ম্যাট রেনশ ও মার্কাস হ্যারিস।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই আলোচিত বল টেম্পারিং কাণ্ডের পর ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথের সঙ্গে দল থেকে বাদ পড়েন ব্যানক্রফট। এরপর থেকেই দলের বাইরে তিনি। তবে তিনিই সবার আগে সুযোগ পাচ্ছেন নিজেকে প্রমাণ করার। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুটি চারদিনের ম্যাচের জন্য তাকে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলে নেয়া হয়েছে।
মার্কাস হ্যারিসও ২০২২-এর অ্যাশেজের পর আর অজিদের একাদশে জায়গা পাননি। আর রেনশ সবশেষ খেলেন জানুয়ারিতে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ওয়ার্নারের কনকাশন বদলি হিসেবে। সবশেষ অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে এই দুজনই ছিলেন। কিন্তু কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি।
ব্যানক্রফট ফের জাতীয় দলের বিবেচনায় এসেছেন ঘরোয়া লিগে আলো ছড়িয়ে। গত গ্রীষ্মে শেফিল্ড শিল্ডে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি।
অজিদের ‘এ’ দলের কোচ ভোজেসের মতে, এই তিনজনই রানের মধ্যে আছেন এবং জাতীয় দলে ফিরতে মুখিয়ে আছেন। তাই নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজে তাদের দলে নেয়া হয়েছে। এই দলে আরও আছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়া মারনাস লাবুশেনও।