লোহিত সাগরে মার্কিন সেনা মোতায়েনের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছে ইরান। পারস্য উপসাগর এবং ওমান সাগরকে শত্রুমুক্ত রাখতে আরব দেশগুলোকে একাট্টা হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আবারও তুঙ্গে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা। বাণিজ্যিক জাহাজ আটকের জেরে ইরানের হুমকি মোকাবিলায় লোহিত সাগরে তিন হাজার সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (৭ আগস্ট) মার্কিন নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজে করে সেনাদের পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাইডেন প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সুয়েজ খাল হয়ে লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে মার্কিন সেনারা। পঞ্চম নৌবহরের মুখপাত্র কমান্ডার টিম হকিন্স বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, এই নৌপথে বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজকে হয়রানি ও আটক করে আসছে ইরান। তাদের কর্মকাণ্ড বন্ধ ও আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানোর অংশ হিসেবেই অবস্থান নিয়েছে মার্কিন সেনারা।
লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইরান। দেশটি ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে অস্থিতিশীলতা তৈরির অভিযোগ করেছে। লোহিত সাগরে মার্কিন সেনা মোতায়েনের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান।
এক বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কখনোই অঞ্চলটির নিরাপত্তা রক্ষা করতে চায়নি বরং তারাই মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি নষ্ট করছে। পারস্য উপসাগর এবং ওমান সাগরকে শত্রুমুক্ত রাখতে আরব দেশগুলোকে একাট্টা হতে হবে।’
অন্যদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ‘তেহরান ওয়াশিংটনকে কখনোই বিশ্বাস করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।’
এদিকে, লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েনের কারণে ইরানি জাহাজ আটকের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনী। এক বিবৃতিতে বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রামাজান শরিফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইরানের কোনো জাহাজ আটক করলে তার বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়া হবে। পারস্য উপসাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাইরের শক্তির দরকার নেই।’