মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি।।
ক্লাসরুমে বই নিয়ে না আসায় ২০ জন শিক্ষার্থীকে কান ধরিয়ে বিদ্যালয় মাঠে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সোহেল রানা, তিনি ওই বিদ্যালয়ের শারিরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক।
সোমবার (০৭ আগষ্ট) সকাল ১১টা ২০ মিনিটে সরজমিনে উক্ত বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, ২০ জন শিক্ষার্থীকে রোদের মধ্যে স্কুলমাঠে দাঁড় করিয়ে রাখেন সহকারী শিক্ষক সোহেল রানা। পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসরুমে আসতে বলেন ওই শিক্ষক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, শারীরিক শিক্ষাক্লাসে বই নিয়ে না আসার কারণে স্যার আমাদেরকে শাস্তিমূলক রোদে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখে।
সহকারী শিক্ষক সোহেল রানা বলেন, আমি ছাত্র/ছাত্রীদেরকে কান ধরিয়ে রাখিনি ওটা একটা ব্যায়াম ছিল। বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের শারীরিক সক্ষমতার বিষয়ে বলা আছে। দাঁড়িয়ে থাকতে হবে ও হাত উচঁু করে থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে সহকারী প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান শিক্ষানীতি অনুযায়ী বাচ্চাদেরকে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা তো দূরের কথা উচ্চস্বরে কথাও বলা যাবেনা। আর শিক্ষার্থীদের সাথে এমন আচরণ করা যাবেনা যে শিক্ষার্থী আমার ক্লাস না করে বাহিরে ঘোরাফেরা করে। যেহেতু প্রধান শিক্ষক অফিসিয়াল কাজে বাহিরে আছেন, স্যার আসলে আমরা বসে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। তিনিও আরও বলেন, উক্ত শিক্ষককে এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দুইবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই-আলম সিদ্দীকি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই যদি কোন শিক্ষক এরকম আচরণ করেন তবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।