লালশাড়ি সিনেমার পাইরেসি ও আপত্তিকর কনটেন্ট তৈরির অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে অভিযোগ করেছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। রোববার (৬ আগস্ট) বেলা আড়াইটার দিকে তিনি ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে এ অভিযোগ করেন।
এ সময় এ নায়িকা বলেন,
বাজে অনেক কনটেন্ট তৈরি করে ভিউয়ার্স বাড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভিউয়ার্স বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, লাল শাড়ি ছবিটি আমার অনেক কষ্টের। ছবিটি নিয়ে পাইরেসির কথা বলতে আমি ডিবিতে এসেছিলাম।
পাশাপাশি আপনারা জানেন যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার বুলিং অনেক বেড়ে গেছে। কারণে-অকারণে ভিউয়ার্স বাড়ানোর আশায় সাইবার বুলিং করা হচ্ছে। সাইবার বুলিং মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বাধাগ্রস্ত করে, এটা কারো কাম্য নয়, বলেন নায়িকা।
‘লাল শাড়ি’ সিনেমার নির্মাতা অপু বিশ্বাস বলেন, কিছুদিন আগে ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাটি পাইরেসির শিকার হয়েছিল। পরে সুড়ঙ্গ টিম ডিবির কাছে এসেছিল। এরপর গোয়েন্দারা এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনেছে। তাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস লাল শাড়ি সিনেমার পাইরেসির সঙ্গে যারা জড়িত, ডিবি পুলিশ তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেবে।
এ নায়িকা বলেন, আমরা আর্টিস্টরা বিভিন্ন দেশে যাই। সেখানে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করি। সেটা নিয়ে বুলিং হলে আমাদের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অপু বিশ্বাস বলেন, সাইবার বুলিংয়ের কথা আমি ডিবিতে অবগত করতে এসেছি। আমি সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে একটি সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আবেদন করেছি। এ ছাড়া ডিবির সাইবার ক্রাইমে যারা আছেন, তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।
এর আগে ডিবি কার্যালয়ে আসার পর অপুর সঙ্গে দুপুরের খাবার খান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ।
পরে হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের অভিযোগ নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন অপু বিশ্বাস।
এর আগে শনিবার (৫ আগস্ট) রাতে আকস্মিকভাবে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় গিয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া বলেন,
অপু বিশ্বাসের সঙ্গে আমার আগে থেকেই পরিচয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেই। সেই সুবাদে পরিচয়। আজ তিনি এদিক দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাই আমার সঙ্গে দেখা করে গেলেন।