‘মোদি’ পদবি মানহানি মামলায় শাস্তি স্থগিত করায় লোকসভার এমপি পদ ফেরত পেয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গন্ধী। শাস্তি স্থগিতের রায়ের দুদিন পর সোমবার ( ৭ আগস্ট) এমপি পদ ফেরত পান তিনি।
ভারতের পার্লামেন্ট এক নোটিশের মাধ্যমে রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
শুক্রবার ( ৪ আগস্ট) ‘মোদি’ পদবি মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে নিম্ন আদালতের দেয়া দুই বছরের শাস্তি স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী কী কারণে রাহুলকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছিল তার কোনো কারণ ব্যাখ্যা করেননি গুজরাটের নিম্ন আদালতের বিচারক। যে শাস্তির ফলে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছিল।
রায়ে আরও বলা হয়, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার প্রভাব শুধুমাত্র তার উপর পড়েনি, বরং তার সংসদ এলাকার মানুষের উপরও পড়েছে। সেই পরিস্থিতিতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শাস্তির উপর স্থগিতাদেশের প্রয়োজন আছে।
একইসঙ্গে রাহুলের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মোদি’ পদবি নিয়ে যে মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে, রাহুলকে সেরকম মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকারও পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি পিএস নরসিমা ও বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, শুনানিতে যাবতীয় সওয়াল-জবাব শোনা হয়েছে। নির্দিষ্ট আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। ওই বিচারাধীন মামলার উপর যাতে কোনোরকম প্রভাব না পড়ে, সেজন্য মামলার ভিত্তি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কোনো মন্তব্য করবে না।
২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল কর্ণাটকের কোলারে একটি নির্বাচনী প্রচারে রাহুল বলেছিলেন, কীভাবে সব চোরদের পদবি মোদি হতে পারে? তার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি।
তার দাবি ছিল, মোদি পদবির সমস্ত মানুষকে অপমান করেছেন রাহুল। যদিও রাহুল বরাবরই দাবি করে এসেছেন, কোনো সম্প্রদায়ের মানুষের উদ্দেশ্যে ওই মন্তব্য করেননি তিনি। ওই মামলায় গত ২৩ মার্চ গুজরাটের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা রাহুলকে দু’বছর কারাদণ্ড দেন। এ সময় তার এমপি পদও স্থগিত করা হয়।